টাঙ্গাইলের মধুপুরে ডাক্তারি পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করে সেই মাংস বিক্রি করা হচ্ছে মধুপুর শহরের ৭/৮ টি মাংসের দোকানে।
কসাইখানা পরিদর্শনের জন্য প্রতিটি পৌরসভায় একজন করে পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মধুপুর পৌর সভায় পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোঃ আব্দুল আলিম। তিনি প্রতিনিয়ত একজন পশু ডাক্তার দিয়ে পশু জবাই করার পুর্বে দেখে নিবেন পশুটি সুস্থ আছে কি না। যদি কোনো পশু ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়, অসুস্থ বা অপ্রাপ্ত বয়সের হয় অথবা যদি পশুটির গর্ভে বাচ্চার বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে সে পশুটি জবাই করা যাবেনা। কসাইখানা পরিদর্শক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর পশু জবাই করার অনুমতি দিয়ে থাকেন। পরবর্তীতে বিক্রির অনুমোদন সিল মাংসের গায়ে লাগিয়ে দিবেন।
মধুপুর শহরে ৭/৮টি মাংসের দোকান সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাংসের গায়ে কোথাও কোনো কসাইখানা পরিদর্শকের অনুমোদন সিল দেওয়া নেই। সিল না দেওয়ার কারণ হিসেবে কসাইগন বলেন, বহুদিন ধরে কোনো পরিদর্শক কসাইখানায় আসেনা।
যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কসাইখানা পরিদর্শনের জন্য সে পরিদর্শন না করে পৌর সভায় বসে দিন কাটাচ্ছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে এক কসাই জানান, আগে মাঝে মধ্যে আসতেন কিন্তু এখন বছরে একবারের জন্যও আসেনা। তিনি আমাদের কাছে সিল রেখে গেছেন আমরা নিজেরাই মাংসের গায়ে সিল দিয়ে থাকি। কেমন পশুর মাংস আমরা প্রতিনিয়ত খাচ্ছি? ভাইরাস জনিত কারণে অসুস্থ পশুর মাংস নাকি মৃত পশুর মাংস খাচ্ছি।
ক্রেতাদের দাবি, পরিদর্শক প্রতিদিন পরিক্ষা নিরিক্ষার পর পশু জবাই করে অনুমোদিত সিল লাগিয়ে দিবেন। যাতে করে গ্রাহক খুব সহজেই বুঝতে পারে পশুটি সুস্থ। এবিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষে সৃষ্টি কামনা করেছেন সুশীল সমাজ সহ সর্বসাধারন।