নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০১টি দেশীয় এলজি, ০১ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ০৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধারপূর্বক ০২ জন আসামী গ্রেফতার।
১০জানুয়ারি (শুক্রবার) বেগমগঞ্জ মডেল থানাধীন ৫নং ছয়ানী ইউনিয়নের বড় মেহেদীপুর সাকিনস্থ জনৈক হাফেজের মেহেগুনী বাগানের ভিতর অভিযান পরিচালনা করে আসামী আটক করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন নাজমুল ইসলাম রাসেল (২৬), পিতা-আব্দুল মান্নান, মাতা-রাসেদা বেগম, সাং-ভবানী জীবনপুর (মন্নান হুজুরের নতুন বাড়ী), ৩নং ওয়ার্ড, ৫নং ছয়ানী ইউপি, ২। নুর মোহাম্মদ বাবুল (২৫), পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, মাতা-শিরিন আক্তার, তালিবপুর গ্রামের (গনক বাড়ি), ৬নং ওয়ার্ড, ৫নং ছয়ানী ইউপি, উভয় বেগমগঞ্জ থানার বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল ফারুক প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা এবং অফিসার ইনচার্জ, বেগমগঞ্জ মডেল থানা, লিটন দেওয়ান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র) কুতুব উদ্দিন খান লিয়ন সঙ্গীয় এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর যৌথ টহল
টিমসহ অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে উক্ত আসামীদ্বয় এলাকায় বিভিন্ন সময় অস্ত্র প্রদর্শন করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে মর্মে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, গত ২৯ ডিসেম্বর মটর সাইকেল যোগে অজ্ঞাতনামা ০৩ জন ব্যক্তি বেগমগঞ্জ থানাধীন ৫নং ছয়ানী ইউনিয়নের ছয়ানী পূর্ব বাজারস্থ সজীব ভ্যারাইটিজ স্টোরের সামনে রাস্তার উপর এসে মটর সাইকেল চলমান অবস্থায় জনৈক শাওন নামক একজনকে লক্ষ্য করে অস্ত্র দিয়ে ছোড়া গুলি বর্ষণ করলে শাওন দেখতে পেয়ে নিজেকে রক্ষা করার জন্য মাটিতে শুয়ে পড়ে। তখন উক্ত গুলি তার পাশে দাঁড়ানো আব্দুল মতিন (২৫), পিতা-মৃত মফিজউল্যাহ, লক্ষ্মণপুর গ্রামের কাজী আলাউদ্দিনের বাড়ী, ৭নং ওয়ার্ড, ৫নং ছয়ানী ইউপি, বেগমগঞ্জ থানর বাসিন্দা এর ডান কোমরের উপরে সামনের অংশে ০৩টি ছোড়া গুলি বিদ্ধ হয়ে জখমপ্রাপ্ত হয়। ভিকটিমের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলেও থানা পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে বর্ণিত নাজমুল ইসলাম রাসেল এ ঘটনার মূল হোতা মর্মে ধারণা করায় তার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করে।