রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ডুমুরিয়ায় ইউপি সদস্যার বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ কঠোর নিরাপত্তা র মধ্যে দিয়ে শুরু হতে চলেছে গঙ্গা সাগর মেলা ও পূর্ণ স্নান হাজিরপাড়া চরমোহাম্মদপুর ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিদেশী পিস্তল ও দেশীয় এলজিসহ আটক ২ বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মধুপুরে সুমী নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার ২নং গোপালপুর ইউনিয়নে আইন শৃংখলার ব্যাপক অবনতি। শ্যামনগরে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ।  জগন্নাথপুরে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারীর বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

সিলেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখনও অস্থিতিশীল

আবুল কাশেম রুমন,সিলেটঃ
  • Update Time : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭১ Time View

সিলেটে দীর্ঘ দিন ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তি থাকলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। অস্থিতিশীল বাজার এখনো হয়নি স্থিতিশীল। সরকার পতন হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণহীণ অসংখ্য পণ্যের দাম। এ অবস্থায় সিলেট মহানগরীতে বাজার মনিটরিং করছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীরা।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সহিংসতার মধ্যে কাঁচা মরিচের কেজি উঠেছিল ৪০০ টাকার ওপরে। এখনো কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। তবে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদনস্থলেও কম দামে কাঁচামাল বিক্রি হচ্ছে। আবার পণ্য পরিবহনে গত কয়েক দিনে ব্যবসায়ীদের কোনো চাঁদা দিতে হচ্ছে না। এসব কারণে সবজির দাম কমেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৫০-৭০ টাকার আশপাশে। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকার কাছাকাছি। সকালে বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
দেখা যায়, বিভিন্ন সবজি পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। আর লাউ, কাঁকরোল, করলা, বেগুন ও বরবটি কেনা যাচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৫০ টাকা ও সাদা ডিম ১৪৫ টাকা দরে কিনেছেন ক্রেতারা। অবশ্য আলু, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম আগের মতোই নাগালের বাইরে রয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আদা (চায়না) ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও রসুন (আমদানি) ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত মাসে চালের দাম কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা করে বেড়েছিল। সেই দাম এখনো কমেনি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বাজারে এক বেসরকারী চাকুরীজীবীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম তো সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এত দিন দাম বৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হতো। এখন শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। আশা করছি, দাম কমে আসবে।
বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, রাস্তাঘাটে এখন চাঁদাবাজি নেই। তবে সহিংসতা ও ডাকাতির আশঙ্কায় পণ্য পরিবহনে রাজি হচ্ছেন না অনেক ট্রাকচালক। ফলে বিভিন্ন উৎপাদনস্থল বা মোকামে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। এখন আস্তে আস্তে দাম কমে আসবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102