উৎসব মূখর পরিবেশে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রেসক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) সকাল ৯টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।
সভাপতি পদে মো: আবদুন নূর (সবুজ বাংলা) ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী ডাঃ কামালুর রহিম সমর (গ্লোবাল টিভি) পেয়েছেন ১২ ভোট, সহ -সভাপতি আবদুল আজিম (স্বাধীন সংবাদ) ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী মামুনুর রশীদ (উপকুল কন্ঠ) পেয়েছেন ১১ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ আলাউদ্দিন (দৈনিক আমার সময়) ২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ সহিদুল ইসলাম (এসএ টিভি) পেয়েছেন ১৪ ভোট।
কোষাধ্যক্ষ পদে জুনায়েদ (দৈনিক শেয়ার বিজ), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাহাদাত হোসেন দিপু (দৈনিক ভোরের ডাক) ও দপ্তর সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান মল্লিক (পল্লী নিউজ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ মনির হোসেন (দৈনিক জবাবদিহি) ১৯ ভোট,
প্রতিদ্বন্দ্বী তানভীর আহম্মদ (দৈনিক নতুন চাঁদ) ১৫ ভোট, প্রচার সম্পাদক পদে ফয়সাল মাহমুদ (দৈনিক আলোকিত সকাল) ২০ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়েজ আহমদ (দৈনিক গণমুক্তি) ১৪ ভোট, ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক পদে নাজমুস সাকিব (দৈনিক জনতা) ২৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী নিজাম উদ্দীন (দৈনিক সরেজমিন বার্তা) ১০ ভোট, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ইসমত দ্দোহা (ক্রাইম প্রতিদিন) ১৯ ভোট, শাহাদাত হোসেন (দৈনিক আজ বার্তা) ৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সাহাব উদ্দীন (দৈনিক রূপসী বাংলা) ১৭ ভোট পান।
৩৫ জন ভোটারের মধ্যে ৩৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচিত ১১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি আগামী (২০২৫-২০২৬ সেশন) দুই বছর প্রেসক্লাবের দায়িত্ব পালন করবেন।
চন্দ্রগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: আবদুল কাদের বাহার প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অ্যাডভোকেট সামছুল আলম সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সদস্য এনায়েত উল্যাহ, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান, চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জামাত নেতা এনামুল হক রতন, চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী রেজাউল হক চৌধুরী, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ওমর খান, জামাত নেতা নজরুল ইসলাম টিটু।
উল্লেখ্য গত ৭ই ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হয়ে ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমানসংখ্যক ভোট হওয়ায় পুনরায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বাকী ৮টি পদে আগেই নির্বাচিত হয় অন্যান্য প্রার্থীরা।
নির্বাচনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ায় নির্বাচনে কেউ প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পায়নি। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ীরা নির্বাচন প্রত্যক্ষ করেন।