চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু সাবেক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এনিয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও সহকারি কমিশনার (ভূমি),দুর্নীতি দমন কমিশন, সদর থানা পুলিশ বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তোভোগী পরিবারের ফারুক হোসেন নামে এক এতিম অটোচালক।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামপুর উত্তরপাড়ার মৃত সামসুদ্দিন ওরফে সামাদ আলীর স্ত্রী ২ ছেলে ও ৫ কণ্যা সন্তান নাবালক রেখে মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় সন্তানেরা অবুঝ থাকায় পিতার কোথায় কতটুকু জমি জায়গা রয়েছে তা জানা ছিল না স্ত্রী সন্তানদের। সেই সুযোগে জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন সাবেক মেম্বার নাইমুল ও তার সহযোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য নাইমুল ইসলামের ভূমিদশ্যুতার চাঞ্চল্যকর তথ্য একাধিক অভিযোগে বেরিয়ে এসেছে।
অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, এলাকার গরিব অসহায়দের জমি দখল করে ভোগ করায় নাইমুল মেম্বারের পেশা। তাদের ক্ষমতা ও বংশধরের জোর বেশি, প্রতিবাদ করলে সাধারণ জনগণের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নাইমুল ইসলামের পালিত ক্যাডার বাহিনীরা। এছাড়াও ভুক্তভোগী ফারুক হোসেনের দুই কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে বারবার একাধিক মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এমনকি তারা।কোন পরীক্ষাতেও অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তাদের জীবন এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন বলেন, আমি সারাদিন অটো চালিয়ে সংসার চালায়, বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি,জবরদস্তি করে দখল করে খাচ্ছে নাইমুল মেম্বার। প্রতিবাদ করলে চলে আক্রমণ পরিবার ও আমার উপর, অবিলম্বে এই ভূমিদস্যের নাইমুলের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
জানা গেছে, তাদের জমির বিরোধ মেটাতে সর্বমোট বিভিন্ন সময়ে ৮ বারের উপর শালিস বৈঠকে বসে উভয় পরিবার। এর মধ্যে গ্রাম্য মৌখিক শালিস হয় তিনবার, তাতে কোনও সুরাহা না হলে সদর থানা পুলিশের সহায়তায় ফের তিনবার শালিশেও কোনও সুরাহা না হবার কথা জানায় ভূক্তভূগী ফারুক। সবশেষ ৭ম বারের মতো গত বছরের ২০২৩ এর জুন মাসের ১৯ তারিখ সোমবার সদর থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভূগী ফারুক এতেও কোন সুরাহা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রতিপক্ষ সাবেক মেম্বার নাইমুল নিকট এ বিষয়ে জানতে গেলে নাইমুল মেম্বার ও তার সাথে থাকা লোকজন সাংবাদিকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। তিনি বলেন-যে জমি পাবে তাদেরকে বুঝ দেয়া হয়েছে। আমার কাছে তাদের কোন জমি নেয়। আর আপনারা সাংবাদিক বেশি বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেয়া হবে আপনাদের। অতএব আপনারা বাড়াবাড়ি না করে চলে যান। এবিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার।করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ ও।জেলা প্রশাসক।