জামালপুর সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকা থেকে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে জামালপুর থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেল জামালপুর সদর থানার এস,আই মামুন গৃহবধুর এ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধু চরপাড়া এলাকার অটো চালক কামরুল ইসলামের স্ত্রী লিপি খাতুন। নিহতের শশুর হাজর আলী বলেন এক বছর আগে মাদারগঞ্জ উপজেলার বাস্তেরপাড়া গ্রামের মো.মিশুক মিয়ার ১২ বছরের কন্যা লিপি আক্তারকে বিয়ে করিয়ে নিয়ে আসেন তার ছেলেকে। ঘটনার দিন শুক্রবার তিনি হাজর আলী ও তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান কাজের উদ্দেশ্য,এর আগে তার ছেলে কামরুল ইসলামও অটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে বেলা দুইটার দিকে তিনি হাজর আলী তার বাড়িতে এসে ছেলের স্ত্রী লিপি আক্তারকে না পেয়ে ঘরের দিক তাকিয়ে দরজা বন্ধ পায়। পরে তিনি ঘরের ভেন্টিলেটরের উপর দিয়ে উকি দিয়ে দেখে লিপির নিথর মরদেহ ধরনার সঙ্গে ঝুলছে।পরে পুলিশকে খবর দিলে তাদের বসত ঘরের ধরনা থেকে ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচানো লিপির মরদেহ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে নিহতের নানী জবা বেগম বলেন,আমার নাতীকে টর্চার করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমার নাবালিকা নাতীকে ওই সময় বিয়ে দিতে চাইনি,সুন্দর দেখে ওরা আমার নাতীকে বিয়ে করে নিয়ে আসছে। আমরা এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে মেস্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জামিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন এটা হলো বাল্য বিবাহের বলি। এমন বয়সে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিলে পরিনতি এমন টাই হবে। জামালপুর সদর থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন,লাশের ময়না তদন্ত শেষে বলা যাবে এটা হত্যা না আত্ম হত্যা।