কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অপহরণের ১০ মাস পর পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া কিশোরকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত ভিকটিমের নাম মোঃ রাসেল ওরফে ভুট্টু (১৬), রাসেল ওরফে ভুট্টু উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের আয়নাল হকের পুত্র। দীর্ঘ ১০ মাস পর গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঐ কিশোরকে উদ্ধার করে। পুলিশ উদ্ধারের পর ভিকটিমকে থানায় নিয়ে এসে বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দীর জন্য কুড়িগ্রাম আদালতের মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সোপর্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া ভিকটিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দীতে বলেন, গত ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় আব্দুস সাত্তার ও মাইদুল ইসলাম সহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন তাদের বাড়িতে গিয়ে বাড়িতে থাকা উত্তর দুয়ারী ঘরে ঢুকে আব্দুস সাত্তার ও মাইদুল ইসলাম সহ আরো অজ্ঞাত ২/৩ জন মিলে গামছা দিয়ে ভুক্তভোগীর চোখ ও মুখ বেঁধে তাকে অপহরণ করে সাগর পারি দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে এক বাড়িতে দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধ করে রাখেন। এবং লোকজন দিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো ও তাকে সব সময় প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হতো। পরে ভুক্তভোগী কৌশল করে সুযোগ মতো সেখান থেকে পালিয়ে কিছু দূরে এসে অপরিচিত একজন ব্যক্তিকে বিষয় টি খুলে বললে তখন সে তার বাড়ির মোবাইল নাম্বার নিয়ে তার মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে দেয়। পরে ভুক্তভোগীর মা থানায় গিয়ে পুলিশ কে বিষয় টি অবগত করেন। পর এরই সুত্র ধরে গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এলাকায় হতে অপহরণ হওয়া কিশোরকে উদ্ধার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানা এসআই এনামুল হক।
জানা গেছে, আয়নাল হকের সাথে দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার গং এর সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ৫ ঘটিকার সময় একই এলাকার সাত্তার গংসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন ব্যক্তি নিয়ে মোঃ আয়নাল হকের বাড়ির উত্তর দুয়ারী শয়ন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। প্রথমে তার স্ত্রীকে ঘর হতে বাহির হয়ে চলে যেতে বলে। সে বাহির হয়ে না গেলে তাকে কয়েক জন মিলে জোর পূর্বক ধর্ষন করার চেষ্টা করে। পরে আয়নাল হকের ছেলে মোঃ রাসেল ওরফে ভুট্টু (১৬) কে সাত্তার গংসহ আরো ৩/৪ জন মিলে তার চোখ ও মুখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্হানে নিয়ে গিয়ে এক ঘরের ভিতর বন্দী করে রাখে। গত ২০২৩ সালের (১২ ডিসেম্বর) আয়নাল হকের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগ এনে ১৮ জনকে আসামী করে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।