সরকার পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বৃদ্ধি করায় আবারও বাড়ছে সিগারেটের দাম। ধূমপায়ীদের জন্য এ যেন এক নতুন দু:সংবাদ।
ধূমপান এখন শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতি নয় বরং অর্থের জন্যও ক্ষতি ডেকে আনছে। একজন ধূমপায়ীর জন্য এ সংবাদ মোটেই সহজ বিষয় নয়। কেননা, ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সহজ কথা নয়।সিগারেট ধুমপায়ীদের আছে এখন নেশায় পরিনত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ৯জানুয়ারি রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এ অধ্যাদেশে বলা হয়, সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক উভয়ই বাড়ানো হয়েছে। নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।
কিন্তু মধুপুরের প্রতিটি খুচরা দোকানে তারা ইচ্ছা মতো দাম বাড়িয়ে প্রতি শলাকা সিগারেট বিক্রি করছেন ২টাকা থেকে ৩টাকায়। হঠাৎ প্রতিশলা সিগারেটের দাম দিগুণ বৃদ্ধি চাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত ক্রেতা-বিক্রেতা বাকবিতন্ডায় জড়াচ্ছেন।
এ বিষয় কুড়ালিয়া বাগবাড়ি মোড় এলাকার মুদি দোকানদার হান্নান মিয়া জানান, মধুপুরের সিগারেট কোম্পানির লোকজন আমাদের কাছ থেকে দাম অনেক বেশি নিচ্ছে সেজন্য আমরাও গ্রাহকের কাছ থেকে দাম বাড়িয়ে নিচ্ছি। মুল্য নির্ধারন না-থাকার প্রতিনিয়ত আমাদের কাছ দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে যেকারণে আমাদেরকে প্রতিশলা সিগারেট দিগুণ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এনিয়ে আমাদের সাথে ক্রেতাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হচ্ছে। এ নৈরাজ্য ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগ নিতে হবে বলে তিনি জানান। সরকার যেকোনো পণ্যের দাম বাড়ানো বা কমানোর সাথে সাথে যদি মুল্য নির্ধারিত চার্ট বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত করেন তাহলেই সিন্ডিকেট বন্ধ করা সম্ভব এমনটাই মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।