নড়াইলের সদর থানাধীন কড়োলা ইউনিয়নে শিক্ষক কতৃক ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী অপহরণ, থানায় এজাহার মোটা অঙ্কের টাকায় রফাদফা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা মোঃ ইমরান মোল্যা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন ১৩/০৯/২০২৪ । মামলার নম্বর ১৩। যাদের নামে মামলা করেন তারা হলেন ১। নয়ন বিশ্বাস (৩৮) ২। মিহির বিশ্বাস (৭০), ৩। তৃষ্ণা রায় (৪৮), সর্ব সাং-কলোড়া, থানা ও জেলা-নড়াইল সহ অজ্ঞাতনামা ০১ জনের বিরুদ্ধে। এজাহার সূত্রে জানা যায় মোছা: শাকিলা খানম (১২), পিং-মোঃ কিরামত মোল্যা, সাং-পুরুলিয়া, থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইল তার মামার বাড়ীতে থেকে গোবরা পার্বতী বিদ্যাপিঠ এর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া-লেখা করেন। শিক্ষক নয়ন বিশ্বাস শাকিলা খানম কে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে থাকে এবং তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকে। এ বিষয়গুলি মেয়ের অভিভাবক ছেলের মা-বাবাকে জানালে তারা কোন কর্ণপাত করে না। মেয়ের অভিভাবক বারবার শিক্ষক নয়ন বিশ্বাস কে নিষেধ করা সর্ত্বেও হীন কার্মকান্ড থেকে বিরত হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১১/০৯/২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ মিনিটের দিকে ভিক্টিম দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নড়াইল সদর থানাধীন কলোড়া সাকিনস্থ নড়াইল টু গোবরা সড়কের জনৈক নুরুর দোকানের দক্ষিণ পার্শ্বে পৌছালে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ২ ও ৩ নং আসামীর প্ররাচনায় ১ নং আসামী ভিক্টিম মোছাঃ শাকিলা খানম (১২) কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাইয়া কৌশলে অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যাক্তির মোটরসাইকেলের মাঝে বসিয়ে ও আসামী নয়ন উক্ত মোটর সাইকেলের পিছনে বসে দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে খুলনার দিকে চলে যায়। ঐ সময় পার্শ্ববর্তী অশিতের দোকানের সামনে থাকা সাক্ষী ১। মোছাঃ আসমানী খানম (২১), স্বামীঃ মোঃ ইমরান মোল্যা, ২। মোঃ সবুর মোল্যা (৩৫), পিং-মৃত গোলাম মোল্যা, ৩। মোঃ সোহেল মোল্যা (৩৫), পিং-মোঃ ওহাব মোল্যা সর্ব সাং-কলোড়া, থানা ও জেলা নড়াইল সহ অন্যান্য লোকজন ভিক্টিম কে আসামী নয়ন বিশ্বাসের মোটর সাইকেলে উঠতে দেখে কিন্তু তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরসাইকেলে করে খুলনার দিকে চলে যায়। তৎক্ষনিক সংবাদ পেয়ে ভিক্টিম কে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে কিন্তু পাওয়া যায় না। সাক্ষী আসমানী খানম সহ অবিভাবক আসামীদের বাড়িতে গিয়ে ২ ও ৩ নং আসামীকে বাড়িতে পেয়ে ঘটনার বিষয়ে জানালে, তারা বিবাহের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে পক্ষ মুসলিম ছেলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় মেয়ে পক্ষ বিবাহে রাজি না হলে তাদের গালিগালাজ করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং ছেলের মামা রতন বিশ্বাস সাবেক কড়োলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অশোক কুন্ডুসহ বেশ কয়েক জনের মাধ্যমে মেয়ের বাবা কেরামত মোল্লার সঙ্গে মোটা টাকার দফারফা করবার কথা জানা যায়। সাবেক কড়োলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অশোক কুন্ডর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বিষয়ে যে অভিযোগ করেছে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আমি কিছুটা জানতে পেরেছি এলাকার কিছু মাতব্বর বসে সমাধানের চেষ্টা করছে। এর সাথে আমার কোন সম্পৃক্তা নেই। এ বিষয়ে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুন জানতে চাইলে তিনি বলেন নয়ন বিশ্বাস এটিও এর আন্ডারে ট্রেনিং করছে এবং এটিও নবকৃষ্ণ টিকাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নয়ন বিশ্বাস পিটিআই এর আন্ডারে ট্রেনিং করছে।