নড়াইলে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে আসন্ন দূর্গা উৎসব কে সামনে রেখে এসব সন্ত্রী ও চাঁদাবাজরা পূর্ণ সংগঠিত হচ্ছে বলে একাধিক গোপন সূত্রে জানা যায়।
ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী সরকারের পতন হলে নড়াইল জেলার অস্ত্রধারী সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মো মুকুল, দক্ষিণ মাছেনদিয়া এলাকার মো সুজন শেখ, দক্ষিণ নড়াইলের পা কাঁটা ইয়ামিন মোল্যা, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলু খানের (গানম্যান) তুষার, মথুরাপুর গ্রামের রিংকু, সাধন, বোরহান, কটা লিটন, গং স্ব-দলবলে আত্মগোপনে চলে যায়। এদের কারো কারো বিরুদ্ধে মামলা হলেও তারা আটক অথবা গ্রেফতার না হওয়ায় পূর্ণ সংগঠিত হয়ে নাশকতা চালাতে পারে বলে একাধিক গোপন সূত্রে জানা যায়। এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক ইতিমধ্যে কাঁড়ারবিল এর সুজন শেখের ঘরে ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানান যায়। এ সকল সন্ত্রাসীদের লালন পালন ও অর্থ প্রদান করে থাকে আওয়ামী লীগের সদর পৌর সভাপতি মলায় কুন্ড। ৬ নং ওয়ার্ড এর সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু লাল ভট্টাচার্য, নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব কুন্ডু সহ বেশ কয়েক জন আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেত্রী বৃন্দু। নাম প্রকাশ না করার সর্তে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং কৃষকসহ ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ অভিযানের মধ্য দিয়ে এ অপতৎপরতা নৎসাতের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের সময় হয়েছে। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই জেলা সদরের নিশিনাথ তলা পূজা মন্দির কমিটি ও বাঁধা ঘাট সর্বজনিন পূজা মন্দির কমিটির মধ্যে বিবাদ ও মান টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ভদ্রবেলা ইউনিয়নের মিরাপাড়া বাজার সংলগ্ন মন্দিরে রাতের আঁধারে কে বা কারা দূর্গা প্রতিমা ভাংচুর করে যাহা সোনাতন ধর্মআবলম্বীদের মধ্যে ব্যপক ভীতির সঞ্চার করেছে। জেলার মোট মন্দিরের সংখ্যা ৫২২ টি এর মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ২৩৭ টি। লোহাগড়া উপজেলায় ১৩৯টি কালিয়া উপজেলায় ১৪৬ টি। এর মধ্যে ঝুঁকি পূর্ণ হিসাবে আউড়িয়া বিশ্বাস বাড়ি মন্দিরটি কে ঝুঁকি পূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চলমান দূর্গাপূজা উৎসব কে সর্বজনিন উৎসবে রূপ দিতে প্রশাসনের পক্ষ হতে, অনুদান বরাদ্দ হিসাবে ৫২২টি মন্দিরের অনুকূলে ৫০০ কেজি হারে সদর ১৮০ মেঃটন লোহাগড়া উপজেলায় ৬৯.৫ মেঃটন ও কালিয়া উপজেলায় ৭৩ টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।