ভারতের বিজেপি নেতা নিতেশ রানা ও ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মুসলমানদের হত্যার হুমকি ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে কটুক্তির প্রতিবাদে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (২৯শে সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় মুন্সীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সুন্দরবন প্রেসক্লাব চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ছাত্র-জনতা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সুন্দরবন প্রেসক্লাব চত্বর থেকে শুরু হয়ে মুন্সীগঞ্জ হয়ে কলবাড়ি বাজার প্রদক্ষিণ করে সমাবেশ স্থলে এসে শেষ হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বায়তুর রহমত জামে মসজিদের ইমাম ও সভাপতি মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম ও আলহাজ্ব মোফাজ্জল হোসেন, মুফতি রোকনুজ্জামান, মাওলানা আবুজার গিফারি, হাফেজ মাওলানা আবুল হাসান, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা মাজিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মুন্সীগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ রমিজুল ইসলাম ও হাফেজ জাকির হোসেন, হাফেজ ফরিদ হোসেন, মোঃ আকতার হোসেন,মুন্সীগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ মহিদুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোর্তজা হোসেন, মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম ইমন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে বিতর্কিত ধর্মীয় প্রচারক রামগিরি মহারাজ মহারাষ্ট্রের এক ধর্মীয় সভায় মহানবী (সাঃ) এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে কট‚ক্তি করেন। এতে সমর্থন দেন রাজ্যেরই বিজেপি বিধায়ক নিতিশ রানা। এছাড়াও মসজিদে ঢুকে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানোর হুমকিও দেন ঐ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা।তারা আরো বলেন, পৃথিবীর কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কট‚ক্তি করার শিক্ষা দেয়না। মানবতার শ্রেষ্ঠ মহামানব মোহাম্মদ (সাঃ) কে অপমান করার মধ্যে দিয়ে মানবতাবাদী আদর্শকে অপমান করা হয়েছে। প্রকৃত মুমিনরা কখনও উগ্রবাদকে ছাড় দেয় না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার ভারতের সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানান তারা।প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম।