জম্বু ও কাশ্মীরের প্রথম দফায় ভোট পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর আজ সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয়েছে।মোট 26, টি বিধান সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ সকালে।এর মধ্যে জম্বু তিন জেলা রয়েছে এবং কাশ্মীরের তিন টি জেলার বিভিন্ন বিধান সভা রয়েছে।গত 18, ই সেপ্টেম্বর ভারতের জম্বু ও কাশ্মীরের মোট 24, টি বিধান সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।মোট 90, টি জম্বু ও কাশ্মীরের বিধান সভার মধ্যে আগে নির্বাচন হয়েছে 24, টি। আজকের হবে 26, টি বিধান সভার নির্বাচন। বাদবাকি 1,লা অক্টোবর হবে শেষ দফায় ভোট। আজকের যে 26, টি বিধান সভার নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির চেয়ারম্যান ওমর আবদুল্লা র বিধান সভা কেন্দ্র বগদাম ও গাডেরবাম বিধান সভা রয়েছে। তিনি দুই যায়গায় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আজকের যে সব বিধান সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার মধ্যে কাশ্মীরের বগদাম ও গাডেরবাগ রাজৌরি রয়েছে। সেই সঙ্গে জম্বু তিন টি জেলার মধ্যে রইসি, রাজৌরি এবং পুঞ্জ রয়েছে।আজ ভোট দেবেন মোট 25, লাখ 78, হাজার মানুষ।মোট প্রার্থী রয়েছে 239,জন।এর আগে শেষ বারের মত ভোট হয় 2014, সালের শেষের দিকে।
তার পর জম্বু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিলাপ করে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করা হয়। তার পর 2019,শে লোকসভা এবং ২০২৪,শে লোকসভা ভোটে জম্বু ও কাশ্মীরের মানুষ ভোট দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু বিধান সভার ভোট দশ বছর হয়নি। জম্বু ও কাশ্মীরের ২৫৬,ধারা বলবৎ থাকার কারণে। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিগোষ্ঠী র সাথে ভারতের সেনাবাহিনী লড়াই চলছে। তাতে কিন্তু জম্বু ও কাশ্মীরের শান্তি ফিরে আসেনি। সেখানে বহু নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী র ছোড়া গুলিতে। বহু সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী সদস্যদের ছোড়া গুলিতে। সেই সঙ্গে ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বহু জঙ্গি।আজও শান্তি পুরোপুরি ফিরে আসেনি।তার সত্বেও জম্বু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সেখানে নির্বাচন শুরু হয়েছে। এবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও বিজেপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং মেহবুবা মুফতি র দল পি ডি পি সহ আরো কিছু আঞ্চলিক দল। শেষ ভোট হবে আগামী ১,লা অক্টোবর। ভোট গননা করা হবে আগামী ৪,ই অক্টোবর। তাবে এবার ভারতের জম্বু ও কাশ্মীরের বিধান সভার ক্ষমতায় কে আসতে পারে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৪,ই অক্টোবর পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং আকাশ পথে ড্রোন ব্যবহার ও হেলিকপ্টার এর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য সবধরনের সহযোগিতা করছেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশন শ্রী রাজীব কুমার।।