লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম ওরফে নুরু টেইলার (৫০) কে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত নুর আলম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং পাঁচপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রোববার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত নুর আলম সদর উপজেলার পাঁচপাড়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুর আলম রাজনীতির পাশপাাশি টেইলারের কাজ করতেন। ৫ আগষ্টের পর সরকার পতনের পর থেকে নুর আলম ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল। রোববার রাত ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০ জনের এক সন্ত্রাসী নুর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নুর আলমকে গুরুতর আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নুর আলমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০জনের একদল সন্ত্রাসী রাত ৯টার দিকে পাঁচপাড়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে হামলা চালায়। এতে আমার বাবা নুর আলমকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে দুইজনকে আহত করে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন ও চাচা শাহ আলম। ৫ আগষ্টের পর থেকে নুর আলম বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। পাশপাশি পাচঁপাড়া এলাকায় দোকান দিয়ে টেইলারের কাজ করতো বলে দাবী করেন তারা।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার. ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, নুর আলম হাসপাতালে আনার আগে মারা গেছে। তবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুৃলিশ পরির্দশক(তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এই হত্যাকান্ডের সাথে কারা জড়িত বা কি কারনে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জড়িতদের চিহিৃত করে গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।