রাজশাহীর তানোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ ফেরত যুবক শাহিনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) বৈদ্যপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে মুন্ডুমালা হাটে বিয়ের দাবিতে ওই গৃহবধু শাহিনকে আটক করেন। এসময় সোহেল এসে ইউপি সদস্য সোহরাব আলীর মধ্যস্থতায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাহিনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আগামি শুক্রবার শাহিনের অন্যত্র বিয়ের কথা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) বৈদ্যপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র শাহিন আলম।তিনি একই গ্রামের এক গৃহবধুকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে পরোকিয়া প্রেমের মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এদিকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ফলে ওই গৃহবধু অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে শাহিনের নিকট আত্মীয় জনৈক সোহেলের মাধ্যমে ক্লিনিকে নিয়ে ওই গৃহবধুর গর্ভপাত ঘটানো হয়। গ্রামবাসি জানান,জনৈক সোহেলের মাধ্যমে ওই গৃহবধুর সঙ্গে শাহিনের পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এদিকে ওই গৃহবধুকে বিয়ে ও পাকা বাড়ি করার স্বপ্ন দেখিয়ে শাহিন কয়েক দফায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রামবাসি সোহেল ও শাহিনের বিচার দাবি করেছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম গৃহবধু বলেন, আগামিকাল থানায় শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে শাহিন আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনেক আগে ওই গৃহবধুর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিলো এখন নাই। তিনি বলেন, গ্রামে বসে এটা মিমাংসার কথা রয়েছে। এবিষয়ে ইউপি সদস্য (মেম্বার) সোহরাব আলী ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, বুধবার বিকেলে আপোষ-মিমাংসায় বসার কথা ছিল, কিন্ত্ত কোনো পক্ষই আসেনি। এবিষয়ে সোহেল বলেন, তিনি শাহিনের আত্মীয় তবে ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।তিনি বলেন, তিনি ঘটনা মিমাংসার চেস্টা করেছেন মাত্র।#