রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) দমদমা গ্রামের এক কৃষক পরিবারকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে প্রতিপক্ষ পরিবার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এনিয়ে গ্রামবাসির মাঝে তীব্রক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এতে অসহায় পরিবারটি আইন প্রয়োগকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) দমদমা গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র সোহানুর হমান (২২) এর সঙ্গে একই গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যার (১৮) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমতাবস্থায় ২০২৪ সালের ৮ জুলাই উভয়ের সম্মতিতে আদালতে এভিডেভিড এর মাধ্যমে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিবাহ করেন।কিন্ত্ত বিবাহ পরবর্তীতে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ-বিবাদের সৃস্টি হয়। দেখা দেয় সংসারে অশান্তি। এতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২০২৪ সালের ২০ আগষ্ট সোমবার আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। এসময় সোহানের স্ত্রী দেনমোহর বাবদ ৫০ হাজার টাকা এবং ইদ্দতকালীন খরপোষণ বাবদ তিন মাসের ৬ হাজার টাকা মোট ৫৬ হাজার টাকা বুঝে নেন।
এমতাবস্থায় গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে একটি মহল ওই মেয়েকে আবারো তার সোহানুরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিন্ত্ত সোহানুর রহমান বাড়িতে না থাকায সে আবারো নিজ বাড়িতে ফেরত আসেন। এমনকি তারা আদালতে দেয়া বিবাহ বিচ্ছেদের বিষযটি উপেক্ষা করে সালিশ-দরবার বসানোর চেষ্টা করে। তারা নানাভাবে সোহানের পরিবারকে মানসিক যন্ত্রনা দিচ্ছে। আবার কখানো কখানো ওই মেয়েক দিয়ে মামলা করানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসব কারনে সোহানের পরিবার সামাজিকভাবে হেযওপ্রতিপন্ন ও মানসিক যন্ত্রনায় পড়ে রিতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#