সহজ সরল লোকজনকে সৌদি আরবে ভালো ভিসা ও ভালো বেতনে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কিছু টাকা খরচ করে সৌদি আরব পাঠায় আদম ব্যাবসায়ী (দালাল)। পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না দিয়ে করেন প্রতারনা। এমনি অভিযোগ উঠেছে নান্দাইল উপজেলা সদর নান্দাইল ইউনিয়নের ভাটি চাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নূর ইসলাম মৌলানার ছেলে নুমানের বিরুদ্ধে। উক্ত অভিযোগ এনে একই ইউনিয়ন বাসিন্দা মোবারক হোসেনের স্ত্রী জুলেখা আক্তার প্রতারক নুমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরজমিন খুঁজ নিয়ে জানা যায়, এ-ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে নুমানের বিরুদ্ধে।
থানায় অভিযোগ থেকে জানাযায়, ভুক্তভোগী মোবারক হোসেনকে সৌদি আরবে টাইলস মিস্ত্রির চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৭,৫০,০০০/- (সাত লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) বুঝে নেয় নুমান। টাকা পাওয়ার পরেও ০৬ মাস তালবাহানা করে নুমান ভিক্টিম মোবারককে সৌদি আরবে পাঠায়। কিন্তু
হতদরিদ্র মোবারক হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠানোর পর চুক্তি অনুযায়ী কাজ না দেওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে বলেও জানান চার সন্তানের জননী, ভিকটিমের স্ত্রী জুলেখা আক্তার।
জুলেখা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, “আমার দুইটা বিদেশি দুধ দেওয়া গরু ছিল। সব কিছু বিক্রি করে, ঋণ করে নুমান দালালকে টাকা দিছি। ৫/৬ মাস হলো স্বামী বিদেশে কষ্ট করে, আর আমি ছোট-ছোট চার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কষ্ট দিন পার করছি। পাওনাদারদের তাগাদায় এখন বাড়িতে থাকাও কঠিন হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার (১০ জুলাই) নুমানের বাড়ীতে গিয়ে স্বামীকে কাজ দেওয়ার কথা বললে নুমান ভয় হুমকী দেখিয়ে বাড়ি থেকে বেরকরে দিছে।”
ভিক্টিম মোবারক সৌদি আরব থেকে ফোনকলে জানান, “নুমানের সাথে কথা অনুয়ায়ী কাজ চাইলে বলে, এমন কাজ করে দিবে কোন দিন স্ত্রী-সন্তানের মুখ দেখতে পারবোনা।”
এবিষয়ে নুমানের নিজ বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই অভিযোগের দায়িত্বে থাকা নান্দাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এস. আই. মোঃ সম্রাজ মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।