শিশু-কিশোরীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন নামে ফেসবুকে আইডি খুলে যৌন উত্তেজক ভিডিও তৈরি করে বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে নারী-পুরুষসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ১ জুলাই রাতে যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। এই ঘটনায় আটক দুইজনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কলভদ্রপুর গ্রামের সুজন কুমার দাসের ছেলে রাজিব কুমার দাস ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াদিঘির পাহার গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে বিথি আক্তার।
এই মামলার পলাতক আসামি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার কলভদ্রপুর গ্রামের মৃত যতিন কুমার দাসের ছেলে সুজন কুমার দ্সা।
মামলার বাদী যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম এজাহারে বলেছেন, আটক দুই আসামি ভিন্ন ধর্মের হলেও তারা বিবাহ বহির্ভূভাবে যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের ডাক্তার এম বারীর বাড়িতে এক বছর যাবৎ স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লিভটুগেদার হিসেবে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছে। এছাড়া তারা যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে নারী ও শিশু এনে তাদের দ্বারা যৌন ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করে আসছে। আটক দুইজনসহ তাদের সহযোগী কয়েকজনের নামে বিথি আক্তার, ইমু সার্ভিস, ভেরিফাই ইমো ভিডিও কল সার্ভিস অডিও কল, লিমা খান, কাপলসো লেসবিয়ার সার্ভিস, নীলা রায়, অবন্তি দাস অনু এবং Eity akter sharmin সহ বিভিন্ন অ্যাপস্ এর মাধ্যমে অনৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ অবক্ষয়ের নিমিত্তে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এমন কিছু ভিডিও তৈরি করেছে। পাশাপাশি ওই গুলো তিনটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও টিকটকের মাধ্যমে প্রকাশ এবং প্রচার করে আসছে।
এরই মধ্যে গত ৭ মার্চ ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার ৪০৩ নম্বর জিডি মূলে অন্তরা আক্তার নামে একটি মেয়ে নিখোঁজের সূত্র ধরে যশোরের ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে বেজপাড়া চিরুনী কল এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় ওই এলাকার ডাক্তার এমএ বারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া রাজিব কুমার দাস ও বিথি আক্তারের কক্ষে তল্লাশি করে। এসময় ওই দুইজনকে আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের তাদের পরিচয় এবং সম্পর্কের ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। ফলে তাদের আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে দু’জনেই স্বীকার করে যে রাজিব কুমার দাসের সাথে লিভটুগেদার হিসেবে বিথি আক্তার গত এক বছর ধরে ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দিয়ে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই সাদ্দাম হোসেন।