ভূরুঙ্গামারীতে মাদকের মুলহোতা পাভেলকে আড়াল করতে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য শফিকুল ইসলামকে মাদক মামলায় চক্রান্ত ভাবে আসামী করায় ওসি ও তদন্ত ওসির অপসারণ ও অবিলম্বে শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা হতে তাকে অব্যাহতির দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকবাসী এ মানববন্ধন করেন।
বুধবার (১২ জুন) বিকালে দফায় দফায় উপজেলার জয়মনিরহাট বাজারে ও আল মদিনাতুল হিজবুল কুরআন মাদ্রাসার সামনে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরাসহ এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারী আব্দুল আজিজ নামের এক ব্যক্তি বলেন, সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ভূরুঙ্গামারী এজেন্ট এমদাদুল হক পাভেল এর বাড়ি থেকে গত শনিবার (৮ জুন) বিকালে ২ দফা অভিযান চালিয়ে ১৬০ পিস ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ৷ গোপন সুত্রে জানা যায় মাদক উদ্ধার অভিযানের সময় ঐ বাসার মালিক পাভেলকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন থানা পুলিশ। পাভেলকে গ্রেফতার না করে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য শফিকুল ইসলামকে ঐ মাদক মামলায় ২ নং আসামি করে ফাঁসিয়ে দেয় ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি ও তদন্ত ওসি। এসময় মানববন্ধনে থাকা জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, নুর আলমসহ আরো অনেকেই ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন ও তদন্ত ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর অপসারণ ও অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা হতে তাকে অব্যাহতির জন্য তারা জোর দাবি জানান। মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারী নুর আলম বলেন পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী পাভেলকে গ্রেফতার না করে উল্টো শফিকুল ইসলাম কে ঐ মাদক মামলায় নাটকীয় ভাবে ২ নং আসামি করে ফাঁসিয়ে দেয়।
অপর দিকে ঐ মামলার জব্দ কৃত মাদক উদ্ধারের দ্বিতীয় অভিযানের সময় পাভেলের স্ত্রীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে বাসার টয়লেটের তালা খুলে রিং স্লাপ এর ভিতর হতে ২০ কেজি গাঁজা ও বাসায় রাখা আরো ৬০ পিস ফেন্সিডিল উদ্ধার করে থানা পুলিশ। অভিযান চলাকালে পাভেলের স্ত্রী উপস্থিত থাকার পরেও এই মামলায় তাকে আটক করিনি পুলিশ। ঐ মামলায় ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি ও তদন্ত ওসির যোগসাজশে চক্রান্ত করে শফিকুল ইসলাম কে আসামি করে পরবর্তীতে ঐ মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়।