সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের হরিহরপুর জামে মসজিদের অজুখানা নির্মান নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, হরিহরপুর জামে মসজিদের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডকে কেন্দ্র করে হরিহরপুর গ্রামের মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির ও একই গ্রামের মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহিত মিয়াসহ অন্যান্য সদস্যদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এরই জেরে গত ১৭ ফেব্র্রয়ারী “ দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আব্দুল কাদির বাদী হয়ে মুহিত মিয়া ও অন্যান্য মসজিদ কমিটির সদস্য এবং নিরিহ গ্রামের মানুষের উপর মামলা দায়ের করে। মুহিত মিয়া সহ মামলার আসামীরা ২০ ফেব্রুয়ারী সুনামগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ
করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহিত মিয়া জানান, ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারী হরিহরপুর এলাকার সকল মুসল্লিদের সমন্বয় হরিহরপুর জামে মসজিদের পরিচালনা কমিঠি গঠন করা হয়। উক্ত কমিঠিতে আব্দুল কাদিরকে সভাপতি, আব্দুল মালিককে সহ-সভাপতি,আমাকে সাধারন সম্পাদক,শরিফ আহমেদকে সহ- সাধারন সম্পাদক, দবির হোসেন কে ক্যাশিয়ার, আশরাফুল ইসলাম কে সহ- ক্যাশিয়ার , আব্দুল মতিন ও ছুরত মিয়া কে সদস্য করা হয়। এলাকাবাসী ও কমিটির সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে প্রবাসীদের অর্থআয়নে মসজিদের পুকুর ভরাট করে মুসল্লিদের জন্য অজুখানা নির্মানের সিন্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা কমিটির লোকজন ও এলাকাবাসী কাজ শুরু করলে এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে মোতাওয়াল্লি আব্দুল কাদির মসজিদের উন্নয়ন কাজে বাঁধা দিয়ে বহিরাগত লোকসহ উনার লোকজনদের নিয়ে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় ।
এই সময় আব্দুল আহাদ ওসামা তার হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে সাইফুলকে বারি মারিতে চেষ্টা করলে উক্ত বারি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তরিকুল ইসলামের উপর পড়লে সে আহত হয়। সাইফুল ইসলাম ঐদিন মসজিদ এর রাজমিস্তি কাজে নিয়োজিত ছিল ।
পরে আব্দুল কাদির মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আমাদের উপর মিথ্যা মামলা করে, ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেন ।
পরে আমরা আদালত থেকে জামিন গ্রহন করি।
হরিহরপুর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন জানান, আমি আমার ভাই, ছেলে ও ভাতিজাদের উপর আব্দুল কাদির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করে হয়রানী করেন আমি এর সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানাই। মামলায় বর্তমানে জামিনে থাকার পর ও আব্দুল কাদির আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও আমাদের পরিবারের ক্ষতি করার হুমকী দিয়ে আসছেন। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এ বিষয়ে জানতে মুক্তিযোদ্ধা ও মসজিদ কমিটির মোতাওয়াল্লি আব্দুল কাদির এর মুঠোফোন বারবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।