জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মধ্য বাগবাড়ি এলাকায় ইমান আলীর মুদি দোকানে তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি সংঘটিতের ঘটনায় দুই চোরকে গ্রেফতার করছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। পরে এদের বিরিদ্ধে মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত বাগবাড়ি এলাকার কালু মিয়াসহ আরও পাঁচ সদস্য এখনও ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।তবে এ ব্যাপারে মেলান্দহ থানার ওসি রাজু আহাম্মদ বলেন ,আটকৃত চোরদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বাকী চোর চক্র সদস্যদের ধরে ফেলবো।ঘটনার দিন,গত ১৭মে রাত দেড়টার সময় মুদি দোকানদার ইমান আলী তার দোকানে তালা মেরে বাড়িতে চলে যায়।পরের দিন সকালে এসে দেখে তার দোকানের তালা কাটা।ভিতরে থাকা এলইডি টিভি,সাইন্ড বক্স,বিভন্ন ধরনের সিগারেট ও নগদ পনের হাজার টাকাসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে পরে পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের মধ্য বাগবাড়ি এলাকার কালু মিয়ার পিতা খলিল মিয়ার বসত বাড়ির বাঁশ ঝাড়ের ভিতর থেকে ২২মে কিছু মালামাল উদ্ধার হয়।পরে ওই দিনই বাগবাড়ি এলাকার আমেজ মিয়ার পুত্র এজাহারে নামীয় মো.বাবু মিয়া ও টুপকারচর এলাকার নুর ইসলামের ছেলে মো.লিটন মিয়াকে বাগবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে মুদি দোকানদার ইমান আলীসহ এলাকাবাসির কয়েকজন রোবার বিকেল সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন,চোররা আমাদের দোকানে চুরি করেই ক্ষান্ত হয়নি,চোরা কালু মিয়ার নেতৃত্বদল গেল ৫ জুন সন্ধায় দেশীয় অস্ত্র দা ও লোহার রড নিয়ে ইমান আলীর দোকানে আক্রমন চালালে ফিরাতে আসা এলাকার আছাদুল্লাহ ও আশরাফ আলী আহত হন।পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে এদের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করে দেন। এখন চোরা মো.কালু মিয়া মামলার বাদি ইমান আলীকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভয় দেখাচ্ছে এবং মামলা তুলে নানিলে তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে।এ ঘটনায় ৬জুন ইমান আলী বাদি হয়ে মেলান্দহ থানায় কালু মিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আবারও একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছে। এব্যাপারে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহাম্মদ বলেন, কালু মিয়ার কান্ডে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।