চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিদস্যুদের অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতনে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে একটি ভুক্তভোগী পরিবার। এমন আশংকায় রয়েছে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের পারদিলালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওদুদ বিশ্বাসের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম কাবু ডাক্তার।
তিনি বলেন, আপন মামাতো ভাইয়েরা নানার একটি পৈত্রিক সম্পত্তিকে নিয়ে জোরপূর্বক দখল করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি, ভয়ভীতি, নির্যাতন করে আসছে। এমনকি এসব জমিতে থাকা ফসলের গাছ কেটে ফেলছে তারা। এছাড়াও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এনিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পুরো পরিবার।
শরিফুল ইসলাম কাবু ডাক্তার আরও বলেন, অন্যায়ভাবে আমার বসতভিটাসহ আশেপাশের জমিজমা দখল করতে গত ২৯ এপ্রিল সকালে লাঠিসোটা, হাসুয়া, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রায় ৫০-৬০ জন লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এসময় বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে কলা, পেঁপে, সজিনাসহ বিভিন্ন সবজির গাছপালা কেটে ফেলে। এ বিষয়ে আমি শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোন সুবিচার না পায়নি বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ভূমিদস্যুরা আমার গর্ভধারিনী মায়ের এবং আমার ক্রয়কৃত শাহাবাজপুর ইউনিয়নের মৌজা পারদিলালপুর, খতিয়ান নং ৪৪৭ এর ১৬১৪, ১৬১৫, ১৬১৭ দাগের ১১ শতাংশ জমি ভুলবশত আতাউর রহমানের নামে আরএস খতিয়ানে রেকর্ড হয়ে যায়। উক্ত সম্পত্তি জোর জবর দখলে নিতে নানারকম পায়তারা করছে। এসব কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে শিবগঞ্জ উপজেলার পারদিলালপুর গ্রামের মৃত আলিম মন্ডলের ছেলে মো. আতাউর রহমান, মো. আতাউর রহমানের ছেলে মো. শামিম মাস্টার, মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, মো. শয়ন, মৃত ফাইজুদ্দিনের ছেলে মো. তোজাম্মেল হক। আমার পুরো পরিবার ভয়ে আতঙ্কে দিন পার করছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা চাই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূমিদস্যুরা মিজানুর রহমানের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান, রোসনারা সহ চারজন মিলে রাস্তর জন্য ১৬২৩ দাগে সাত শতাংশ জমি কিনলেও উক্ত ভূমিদস্যুরা দখল দিচ্ছে না।
এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন তোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, রেকর্ড আমাদের নামে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা জমিগুলো দখলে নিব। এছাড়াও গাছাপালা কাটার বিষয়ে তোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের জমিতে থাকা নিজের গাছপালা কাটব, না কি করব তা আমাদের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার।
দুর্দান্ত ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রেহাই পেতে ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।