লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর উপর হামলা ও গুলিবিদ্ধের ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেফতার কৃতরা হলেন, এজাহারনামীয় ২নম্বর আসামি আমানীলক্ষ্মীপুর গ্রামের বাকা মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবু।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার কৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয়, মো. রাফি, তারেক হোসেন ও রাসেদসহ ৬ জন দুটি মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় একটি মাহফিল শেষে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় এম. সজীবসহ অন্যান্যরা পাঁচপাড়া গ্রামের মুরাদ বাবুলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এম. সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং কুপিয়ে আহত করে। একই সময় অন্যান্যরা সজীবকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাদেরকেও কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করা হয়। পরে সজীবের স্বজনরা ও এলাকাবাসী সজীবসহ আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
এ দিকে ঘটনার ৩ দিন পর ভিকটিম এম. সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ এজাহার নামীয় ১১ জন ও অজ্ঞাত আরো ১৮/২০ জনসহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে জানা গেছে, মারাত্মক আহত এম. সজীবের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহিদ হোসাইন জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের ৪ জনকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ১১ জন এজাহারনামীয়সহ মোট ৩১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের কিরা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ২নম্বর আসামি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান তদন্তকারী এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানিয়েছেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এম. সজীবসহ তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছিলো। গ্রেপ্তারকৃতদের জবাববন্দি এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।