অদ্য ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ইং জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)পাঠ্যপুস্তক থেকে “আদিবাসী”অপসারণের প্রতিবাদে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ঘেরাও কর্মসূচির উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে এনসিটিবি যাওয়ার সময় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর ” স্টুডেন্টস ফর সোভারেন্টি” নামক ভূঁইফোড় সন্ত্রাসী সংগঠনের দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা পরিকল্পিত হামলা ঘটেছে।
“স্টুডেন্ট ফর সোভারেন্টি” নামক ভূঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে সংগঠিত ব্যানারে এই হামলায় মিছিলে অংশগ্রহণ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুপায়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা ও অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা সহ অনেক আদিবাসী শিক্ষার্থী গুরুত্বরভাবে আহত হয়েছে। উক্ত হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা কেবল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা করেননি বরং এটি আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি করে আসা সাংবিধানিক অধিকার ও মানবাধিকারের একটি জঘন্য অপরাধ।
বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা ( বাতকস) তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে,বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিকদের যেমন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে তেমনি আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের নায্য অধিকার দাবি ও তাদের বিরুদ্ধে ঘটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনা প্রমাণ করে যে,আদিবাসীদের কন্ঠ স্তব্ধ করার জন্য একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কার্যকর করা হচ্ছে।
আমরা অন্তর্বতীকালীন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিম্ন লিখিত দাবি জানায়:
১। হামলার সাথে জরিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
২।শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩।পাঠ্যপুস্তক থেকে “আদিবাসী “শব্দ অপসারণের সিদ্ধান্ত পূণবিবেচনা করতে হবে এবং আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৪। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আমরা আশা করি অন্তর্বতীকালীন সরকার এবং দেশের বিচার বিভাগ এই ঘটনা সুস্থ তদন্ত করে এবং হামলায় জরিতদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করবে।
প্রচারে
সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
সহ- প্রচার সম্পাদক।
কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটি।
বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা( বাতকস)।