খুলনার ডুমুরিয়ার জিয়ালতলা পদ্মবুনিয়া খাল পুনঃখনন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
জানা গেছে, খালটির পুনঃখনন সম্পন্ন হলে ওই এলাকার জলাবদ্ধতা দূর হবে, শুকনো মৌসুমে খালে পানি থাকবে এবং খালের পানি ব্যবহার করে ১২০৬ টি কৃষক পরিবারে ২২০০ একর কৃষি জমি সেচের আওতায় আসবে। এছাড়া ফসল উৎপাদন বাড়বে, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমবে। খালের পানিপথ এবং পাড় ব্যবহার করে ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষিজ উপকরণ পরিবহন এবং কৃষক হাসিমুখে উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে।
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রাজকীয় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায়, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া সফল ফর ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প এ উদ্যেগ গ্রহণ করেছে। এর আগে ডুমুরিয়া উপজেলায় সফল ফর ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প আরো ৫টি খাল পুনঃখনন সম্পন্ন করেছে।
বুধবার ডুমুরিয়া উপজেলার জিয়ালতলা গ্রামে এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুর রহমান, ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা, উপজেলা কৃষি অফিসার ইসাদ ইবনে আমীন, ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান,উত্তরণ কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন, ফাতেমা হালিমা, শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্য, সমরেশ সরকার প্রমুখ। বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা সলিডারিডাড এর অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বে-সরকারি সংস্থা উত্তরণ।
খালটির পুনঃখনন সম্পন্ন হবার পর এলাকাবাসীকে নিজ উদ্যেগে খালটির রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। বায়োডায়ভার্স বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে খালে গাছ লাগাতে হবে, খালে বাঁধ দেওয়া যাবে না, নেট পাটা এবং কারেন্ট জাল ব্যাবহার করে দেশী এবং মা মাছ ধক্ষংস করা যাবে না।