সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেছেন, দেশে দুর্নীতিকে উৎখাত করতে হলে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে চাবুকের আইন নিয়ে আসতে হবে। বিশ্ব কী বলবে না বলবে তা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।
শনিবার বিকালে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে লাভলীন কনভেনশন হলে আয়োজিত দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির এক আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, যারা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে তাদের বিচারের জন্য এত প্রহসন করার দরকার নেই। বাড়িতে টাকা পাওয়া গেলে প্রশ্ন করবেন টাকাটা কোথায় পেলেন? যদি ভালো উত্তর পান ছেড়ে দেবেন, তা না হলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি দিতে হবে। সাবেক এই বিচারপতি বলেন, দুর্নীতিবাজরা জেলখানায় গিয়ে জেলখানার পরিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। সেখানে অনেক কিছু হচ্ছে। সরকারের যারা রয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ- প্রহসন না করে নগদ বিচার করেন।
তিনি বলেন, ‘সামারি ট্রায়াল’ এত সমস্ত জিজ্ঞেস করার দরকার নেই। আপনারা যদি বসে থাকেন দুদক, থানা-পুলিশ তদন্ত, অমুক-তমুক এগুলো শুধুই প্রহসন। কাজেই সোজা কথা হচ্ছে চাবুকের আইন নিয়ে আসা।
সমাজ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের নামের আগে ‘দুর্নীতিবাজ’ লিখে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আইডি কার্ড থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় কাগজপত্র সব জায়গাতে দুই বছরের জন্য ‘দুর্নীতিবাজ’ লিখে দিতে হবে। এই দুই বছরে যদি সে শোধরায় তাহলে সেটা মুছে দেওয়া হবে আর না শোধরালে আবার চাবুক দেওয়া হবে।
এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি সাবেক মন্ত্রী নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দিন, ড. আব্দুল হক তালুকদার, উইং কমান্ডার (অব.) আমিনুল ইসলাম, লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার ফরিদুল আকবর, পারভীন নাসের খান ভাসানী প্রমুখ।
এ সময় অ্যাড. হুমায়ন কবির ভুঁইয়াকে আহ্বায়ক ও আবুল কালাম আজাদকে সদস্য সচিব মনোনীত করে ঢাকা মহানগর উত্তর দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির ৩৩ সদস্যের নাম ঘোষণা করেন বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ।