নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী থানার আবির পাড়া এলাকায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি জেরে আব্দুল হালিম(৩৫)নামে সৌদি প্রবাসী গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আব্দুল হালিম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার আবির পাড়া গ্রামের মোঃ মজিবুল হকের ছেলে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সোমবার(২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ প্রবাসীর ভাই আলী হোসেন জানান,আমার ভাই একজন সৌদি প্রবাসী ।দুই বছর আগে দেশে এসেছেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে আমাদের বাসার সামনে চাঁদাবাজি করছিলেন ফিরোজ সাগর মামুন এবং আরো কয়েকজন। এ সময় আমার ভাই বাধা দিলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে আমার ভাই পেটের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আমার ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে।বর্তমানে জরুরী বিভাগের তার চিকিৎসা চলছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক বলেন, নোয়াখালী সোনাইমুড়ি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
অপর ঘটনাটি ঘটে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা গ্রামের ছিদ্দিক চৌকিদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমাইল হোসেন (৩৩) একই গ্রামের সায়েদুল হকের ছেলে। তিনি সৌদি আরব প্রবাসী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে লিমাকে বিয়ে করেন সৌদি আরব প্রবাসী ইসমাইল। এক সপ্তাহ আগে তিনি দেশে ফিরেন। গতকাল রোববার রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন। ইসমাইল স্ত্রীসহ আলাদা ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। স্ত্রীর সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয় ইসমাইলের। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে অভিযুক্ত লিমা আক্তার তার স্বামী ইসমাইল হোসেনকে নিজে বা কারও সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধ অথবা মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। কিন্ত ভিকটিমের পরিবারকে স্ত্রী লিমা জানায় স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে লাশ দাফনের জন্য গোসল করানোর সময় গলায় কালো আঘাতের চিহৃ দেখা যায়। এতে মৃত্যুর বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্ত্রী লিমাকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়।