টাঙ্গাইলের মধুপুরে নতুন মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার কেটে বিকট শব্দে মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করায় দোকান ভাংচুর লুটপাট ও ১জনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৩০নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মধুপুর উপজেলাধীন কুড়ালিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ইলিয়াস মিয়া জানায়, কুড়ালিয়া নদীরপাড় এলাকার লুৎফর মিয়ার ছেলে জসিম(২২) দীর্ঘদিন যাবত মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপ কেটে বিকট শব্দে রাস্তায় যাতায়াত করে। মোটরসাইকেলের বিকট শব্দে রাস্তার আশপাশের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জসিম বিকট শব্দে মোটরসাইকেল চালিয়ে কয়েকবার আসা-যাওয়া সময় আমি তাকে থামিয়ে বিকট শব্দ করে মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করি।
আমি নিষেধ করাতে সে আমাকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যেতে বলে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লোকজন এসে তাকে এভাবে মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে সে চলে যাওয়ার পর ১৫/২০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার দোকানে এসে হামলা চালায়। আমার দোকানের ভিতরে ডুকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর এবং ক্যাশ বাক্স ভেঙে টাকা নেওয়ার সময় আমি বাঁধা দিলে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। আমাকে বাঁচাতে কেরামত আলী এগিয়ে এলে জসিম চাপাতি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। চাপাতির কোপে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসী বাহিনী একটি মোটরসাইকেল রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। তারা আমার দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙে ৭০/৮০ হাজার টাকা এবং একটি আইফোন নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন কেরামত আলীকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তার মাথার পিছনে চাপাতির কোপে আলাদা হয়ে গেছে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। তার অবস্থা খুবই আশংকাজনক বলেও তারা জানায়। খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সাইলেন্সার কাটা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান।
এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট এ সন্ত্রাসী বাহিনীর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।