চাটখিল পৌরসভার মাছবাজার সংলংগ্ন সরকারি লিজকৃত ভূমি দখলের অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য প্রচার করার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে আলাউদ্দিন ভূঁইয়া পরিবার।
প্রতিবাদ লিপিতে পরিবারের পক্ষ থেকে আলাউদ্দিন ভূইয়া জানান, চাটখিল পৌরসভার ধামালিয়া মৌজার এম আর ৬৮ নং, ৪২ নং দাগের ডিএস ৪৮ নং খতিয়ানের তিন শতাংশ চান্দিনা বিটি সরকার কাঁচা বাজারের জন্য নিয়ে ধামালিয়া মৌজার ডিএস ৪২ নং দাগে ০.০৫ (আধা) শতাংশ এবং ডিএস ৪৩ নং দাগে ০.০৫ (আধা) শতাংশ মোট দুই দাগে এক শতাংশ সরকারি সম্পত্তি বন্দোবস্ত দেয়। যাহা পরবর্তী ১৯৯১ ইং সালের মাঠ জরিপ শুরুর পরে পেরিফেরি নকশার ১ নং খাস খতিয়ানের বিএস ১১৫৫ নং দাগে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। উক্ত এক শতাংশ সম্পত্তি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় ভূমি অফিস হতে ১৯৮৩ ইং সাল থেকে আবু সাঈদ ভূঁইয়া ও তার পিতা তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া এর নামে একসনা লিজ প্রদান করেন উক্ত লিজটি ২০২৪ ইং সাল পর্যন্ত নবায়ন রয়েছে। অথচ গত ২১-০৯ ২০২৪ ইং তারিখে চাটখিল উপজেলার চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও ক্যাসিনো স¤্রাট আশরাফুল আজিম রুবেল আমাদের বিরুদ্ধে সরকারি লিজকৃত ভূমি দখলের অভিযোগে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচার করে আসছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, প্রকৃতপক্ষে বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলে ২০১৩ ইং সালে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও ক্যাসিনো সম্রাট আশরাফুল আজিম রুবেল গংরা আইন আদালতের তোয়াক্কা না করে চাটখিলে চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তৎকালীন যুবলীগের আহবায়ক বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য রকিসহ ৭০-৮০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে আমাদের লিজকৃত সম্পত্তি দখল করে নেয়। তখন আমাদের উক্ত দোকান ঘরের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের বের করে দেয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের সহযোগিতায় এক মাস পরে, মে ২০১৩ ইং সালে আমাদের উক্ত সম্পত্তি আমরা পুনরায় বুঝিয়া পাই।
পরবর্তী সময়ে উক্ত বিষয়গুলো নিয়মে মহামান্য হাইকোর্ট ২৩-০১-২০১৪ ইং তারিখে একটি রুল জারি করেন। এবং আবুল বাশার ও জাহাঙ্গীর আলমকে সরকারের নিকট হইতে লিজ গ্রহীতা আবু সাঈদ ভূঁইয়া, তোফাজ্জল হোসেন ভূঞা, সাইফু ইসলাম ভূঁইয়া এবং শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া এর শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে কোন প্রকার বিঘœ সৃষ্টি না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। তারপর থেকে আদালতের উক্ত নির্দেশনাটি বর্তমান সময় পর্যন্ত চলমান আছে।
আমরা ভূঁইয়া পরিবার উক্ত সম্পত্তি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিকট থেকে লিজ নিয়ে প্রায় ৪২ বছর যাবত সরকারকে খাজনা দিয়ে আসছি। সেই সাথে পুনরায় উক্ত দোকান ঘর মে ২০১৩ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভোগ দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।
তিনি দাবি করেন রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ক্যাসিনো সম্রাট আশরাফুল আজিম রুবেল এইস মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য প্রচার করছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কফিল উদ্দিন ভূইয়া, মোজাম্মেল হোসেন, লন্টু ভূইয়া ও বিপু ভূইয়া।