নোয়াখালীর চাটখিলে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন ইমতিয়াজ আলম (রিজভী) নামের এক কিশোর। বর্তমানে তাকে বাঁচানোর জন্য তার পিতা এদিক ওদিক ছুটছে; কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। ছেলের এমন অবস্থা দেখে পাগলপ্রায় ইমতিয়াজ আলমের বাবা। তিনি বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।
রিজভী চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনু ব্যাপারী বাড়ির মোহাম্মদ নুর আলম এর ছেলে। সে উপজেলার খিলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পাশ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইমতিয়াজ আলম (রিজভী) খাদ্য নালীতে টিউমার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
ইমতিয়াজ আলমের বাবা বলেন, চিকিৎসায় ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আরও চিকিৎসা করাতে প্রায় ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। আমার পক্ষে এত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তাই সমাজে বিত্তশালী, ধনবান ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করছি। কেমো থেরাপি দিতে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা করে লাগে। ডাক্তার বলছে ক্যান্সার রোগীদের ক্যামো থেরাপি দিতে হবে এখনো আরো ৬ বার ক্যামো থেরাপি দিতে হবে।
জানা যায়, ইমতিয়াজ আলমের পিতা এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতেন এবং ইমতিয়াজ আলম রিজভী পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট/টিউশনি করতেন। বাবা-ছেলের রোজগার দিয়েই তাদের সংসার চলত। হঠাৎ দুই মাস আগে ইমতিয়াজ আলম রিজভী শারীরিক অবনতি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। একপর্যায়ে ইমতিয়াজ আলম রিজভী টিউমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরবর্তীতে ইমতিয়াজ আলম রিজভী বাবা ধারদেনা করে ৩ লক্ষাধিক টাকা জোগাড় করে ঢাকা বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছেলের অপারেশন করানোর জন্য যান। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এখন ইমতিয়াজ আলম রিজভী কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে যার অর্থ পরিবার বহন করতে পারছে না। তার পিতার মোবাইল নম্বর হচ্ছে- ০১৮১৬-১৪৮১৩০।
প্রতিবেশী রাফিদ হাসান জানান, ইমতিয়াজ আলম রিজভী অত্যন্ত বিনয়ী, ভালো ছেলে। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়ল, যা সত্যিই দুঃখজনক। তার বাবা একজন দিনমুজুর। তার বাবার সামর্থ্য নাই ইমতিয়াজ আলম রিজভী চিকিৎসা করার।’