নোয়াখালীর চাটখিলে খাবারের সাথে চেতনানাশক স্প্রে করে একই গ্রামের ৩ বাসায় শনিবার দিবগত রাতে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের শ্রীনগর গ্রামের দেওয়ানজী বাড়ী মাহমুদ হাসান এবং নোয়াব বাড়ির মো: বাহার এর বাসায়। এতে প্রায় নগদ টাকাসহ ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে সংঘবন্ধ একদল চোর।
স্থানীয় সূত্র বলছে , রান্না ঘরের জানালা খোলা থাকায় দুই চুলা বিশিষ্ঠ গ্যাসের চুলার উপর ভাতের পাতিল ও চায়ের পাতিল রাখা ছিল। এশা ও তারাবী নামাজের পর সবাই চা খাওয়ার পরই সকলের বুক জ্বালাপোড়া করছিল পরে একে একে দেওয়ানজী বাড়ী মাহমুদ হাসান সহ পরিবারের ৪জন সদস্য অচেতন হয়ে পড়েন। এতে ঘরে ভিতরে থাকা স্বর্ণালংকার সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। সকালে বাড়ির অন্যান্য লোকজন উঠে দেখে মাহমুদ হাসান (৬৫) ও তার বড় ছেলে কায়সার জামিলের স্ত্রী নিশাত মুমতাজ (২৩) ছোট ছেলে রিজওয়ান জামিলের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (২০) ও ছোট মেয়ে জোহোরা আজমি (২১) গুরুত্ব অচেতন ও অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে। পরবর্তীতে তাদেরকে স্থানীয় চাটখিল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তবে ছোট ছেলে রিজওয়ান জামিলের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস গর্ভবতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে নোয়াব বাড়ির মো: বাহারের ঘরেও এমন নকশা করেছিল চোরের চক্ররা । তারাও চা খাওয়ায় মাতালের মত অবস্থা হওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা চিৎকার দিলে আসে পাশের লোকজন চলে আসলে চোরের চক্র পালিয়ে যায়। তবে তাদেরও চারজনকেও চাটখিল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও দেওয়ানজী বাড়ির বিপ্লব হোসেন এর ঘরের স্টীলের আলমারী ভেঙ্গে লুটপাট করতে চেষ্টা করে সেখানেও তারা টের পাওয়ায় তেমন কোন সুবিধা করতে পারেনি এই চোরের চক্র।
একই রাতে একই সময়ে তিন পরিবারে এমন ঘটনা কিভাবে হলো তার সঠিক উত্তর না পেলেও সকলকে সর্তক থাকার আহবান জানিয়েছেন নোয়াখলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মানিক। তিনি এমন চুরির ঘটনায় মর্মহত হয়ে চোরেরে চক্রকে ধরে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও এলাকার সকলকে সর্তক থাকাও অনুরোধ জানান।
এ ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে চাটখিল থাকার ওসিসহ একটি টিম সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে নিশ্চিত করে বলেন, চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।