মোটর সাইকেল না দেয়ায় সোনাইমুড়ি উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বাংলা বাজার বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্র সিফাত হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে গুরুতর আহত করে । গত শুক্রবার রাতে বিদ্যালয় এর পাশে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সিফাত বর্তমানে ঢাকার একটি প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে সোনাইমুড়ি থানা অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু থানায় অভিযোগের ৫ দিনেও কোন তৎপরতা নেই বলে আজ বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন।
অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ০২ নদনা ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মোঃ শাহজাহানের ছেলে ও বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্র সিফাত হাসানকে তার বাবা বিগত ছয় মাস পূর্বে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেয়। এরপর থেকে তার পরিচিত পাশবর্তী শাকতলা গ্রামের রিয়াজ, সাগর, সৈকত, মামুন,মিরাজ ও আশিক বিভিন্ন সময় চালানোর জন্য মটর সাইকেলটি নিত। নেয়ার পর তাদের মনগড়া মত চালিয়ে মটর সাইকেলের ব্যাপক ক্ষতি করে। পুনরায় মটর সাইকেল চাইলে সিফাত তাদের দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাকে এবং তার বাবাকে গালমন্দ করে এবং তার পরিবারের লোকজনদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার রাতে সিফাত তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে তাকে একা পেয়ে বাংলা বাজার এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান রিয়াজের নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সিফাতের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এলোপাতাড়ি কিল,ঘুষি ও লাথি মেরে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো সাফাতি দিয়ে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক যখন করে। এ সময় সিয়ামের হাতে থাকা দামে মোবাইল ফোনটি তারা নিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় এবং তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে ঢাকার এভার কেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে সিফাতের পরিবার যাতে কোন প্রকার মামলায় না যায় সেই জন্য কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে। এই কারণে তার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করছেন তারা। সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এ ব্যাপারে জানান, স্কুল ছাত্র সিফাত হাসানের বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।