নাটোরের লালপুরে টেলিভিশন মেকানিক সোহেল রানা (৩৭) হত্যার বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে বিকেল পৌনে ৬টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী-বাঘা আঞ্চলিক মহাসড়কের পুরাতন ঈশ্বরদী ইয়ারপোর্ট মোড় এলাকায় লাশ রেখে রাস্তা অবরোধ করে সোহেল হত্যার খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। প্রায় পৌনে ২ঘন্টা অবরোধের কারণে ঈশ্বরদী-বাঘা আঞ্চলিক মহাসড়ক রাস্তায় তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। ফলে এই রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এসময় সোহেলের স্ত্রী নাছিমা তার সদ্য ১৫দিনের শিশু পুত্র সুপ্ত ও ৩ বছরের কন্যা সিনাকে নিয়ে স্বামী হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে বলেন, আমার এই অবুঝ সন্তানদের নিয়ে আমি কোথায় যাবো, কে নিবে এই অবুঝ সন্তানের দায়দায়িত্ব।
লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং আগামী ২৪ঘন্টার মধ্যে সোহেল রানা হত্যার খুনিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে রাস্তা থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার ১২ই মার্চ সকালে উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী ইয়ারপোর্ট মোড় এলাকার একটি ভুট্টার ক্ষেত থেকে টেলিভিশন মেকানিক সোহেল রানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোহেল রানা ওই একই এলাকার মৃত মকবুল মিস্ত্রির ছেলে।
নিহত সোহেল রানার ভাই শামীম হোসেন জানান প্রতিদিন সোহেল রাতে বাড়ি ফিরে কিন্তু গতকাল রাত বারোটার সময় তার দোকান খোলা দেখলেও তাকে না পেয়ে ইয়ারফোর্ট মোড়ের দোকানদাররা জানালে রাত সাড়ে ১২টার সময় দোকান বন্ধ করে অনেক খোজোখুজির পর ছোট ভাই সোহেল রানাকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। সকালে তুষারের মাধ্যমে খবর পান ইয়ারফোর্ট মোড়ে একটি ভুট্টা খেতের মধ্যে সোহেলের লাশ পড়ে আছে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নাছিম আহমেদ জানান এঘটনায় গতকাল সোহেল রানার স্ত্রী নাছিমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। আজ বিকেলে পুরাতন ঈশ্বরদী ইয়ারপোর্ট মোড় এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভের খবর শুনে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলে সড়ক অবরোধকারীরা রাস্তা থেকে লাশ সরিয়ে নেয় এবং তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।