সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আহমদাবাদ (কুবাজপুর) গ্রামের লন্ডন প্রবাসী শাহ সুবা চৌধুরী, শাহ শাহাব চৌধুরী ও ইদুদ্দোজা চৌধুরী গংদের মালিকানা ছমরুখালী জলমহালে মাছ শিকারে বাঁধা নিষেধ করছেন প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ইয়াওর মিয়ার লোকজন। এই ব্যাপারে লন্ডন প্রবাসীদের ভাতিজা মোঃ রাহিম চৌধুরী বাদী হয়ে আহমদাবাদ (কুবাজপুর) গ্রামের ইয়াওর মিয়া, লুবন মিয়া , খলিল মিয়া, নাইম মিয়া,সায়েক মিয়া,ছাতির মিয়া ও রিজু আহমেদ এর বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিবাদীগণ এলাকায় অত্যন্ত উগ্র দাঙ্গাবাজ ও খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীগণ এলাকায় গায়ের জোরে চলাফেরা করে। এলাকার মুরুব্বিয়ানসহ কাউকে তোয়াক্কা করে না বলে এলাকার লোকজন তাদের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। আমার চাচা সুভা চৌধুরী, শাহাবুদ্দিন চৌধুরী এবং ইদুদ্দোজা চৌধুরী গংরা সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করিয়া আসিতেছেন। আমি সহ আরো কয়েকজন আমার প্রবাসী চাচাদের সহায় সম্পত্তি দেখাশোনা সহ রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া আসিতেছি। বিবাদীগন দীর্ঘদিন হইতে আমার প্রবাসী চাচাদের ধানি জমি, বাগানবাড়ী, বাগান বাড়ির ভিতরে থাকা নয়টি পুকুর, খামার বাড়ি ও লেক জোরপূর্বক ভাবে বেদখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকিয়া বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালাইয়া আসিতেছে। উক্ত বিষয় নিয়া আমার চাচা ও প্রবাসীদের আপন চাচাতো ভাই মোঃ আফাজ চৌধুরী যিনি প্রবাসীদের সহায় সম্পত্তির একজন কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যার কারনে বিবাদীগণ আমি সহ আমার চাচা মোঃ আফাজ চৌধুরীর উপর ক্ষিপ্ত রহিয়াছে। গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজী সকাল অনুমান ১০. ৩০ ঘটিকার সময় আমি ও আমার চাচা মোঃ আফাজ চৌধুরী ও কিছু শ্রমিক নিয়া ছমরুখালী জলমহালে মাছ শিকারে ছিলাম। এই সময় ইয়াওর মিয়ার নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রে- সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদেরকে আক্রমন করে এবং মাছ শিকারে বাঁধা নিষেধ করে। বাদী অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন উক্ত ছমরুখালী জলমহালে বর্তমানে ইয়াওর মিয়ার লোকজন মাছ শিকার করার প্রস্তুতি গ্রহন করছে। যেকোন সময় জোরপূর্বক মাছ শিকার করে নিয়ে যাইতে পারে। এতে বাঁধা দিলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষর মত ঘটনা ঘটতে পারে।
আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিয়া আইনের শরণাপন্ন হয়েছি। যে কোন সময় সংঘর্ষ সৃষ্টি হতে পারে আমি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।