নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি হাফিজ উল্লাহ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর জন্য দোয়া করায় মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়।তাকে এখনো চাকরিতে বহাল না করায় মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তবে তাকে শিগগিরই ইমামের দায়িত্বে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সরগরম।
জানা যায়, মাওলানা ইমাম মুফতি হাফিজ উল্লাহ বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম। সাড়ে তিন বছর আগে যোগদানের পর থেকে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত বছরের ১৪ আগস্ট আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে যোহর নামাজের পর তাঁর মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন এই ইমাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাওলানা মুফতি হাফিজ উল্লাহ ইমামের দায়িত্ব থেকে তাৎক্ষণিক সরিয়ে দেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল কাদের মির্জা ।
স্থানীয় মুসল্লিরা বলেন,মুফতি হাফিজ উল্লাহ একজন ভালো আলেম ও ভালো মনের মানুষ। তার ওপর অন্যায় করা হয়েছে। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর জন্য দোয়া করায় বসুরহাট পৌর মেয়র মসজিদ কমিটিকে চাপ প্রয়ােগ করে ইমামকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। কিন্তু জানা যায় ইমাম সাহেবকে এখনো লিখিতভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।মুসল্লীদের দাবি মসজিদ কমিটির কাছে তাকে যেন আবার ইমামের দায়িত্বে বহাল করা হয়।
খতিব মুফতি হাফিজ উল্লাহ বলেন,গত বছরের ১৪ আগস্ট আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে, মুসল্লিদের অনুরোধে যোহর নামাজের পর তাঁর মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করি। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর জন্য দোয়া করায় তখনকার মসজিদ কমিটি আমাকে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করতে নিষেধ করেন এবং মসজিদ থেকে বের করে দেন। আমার প্রতি জুলুম করা হয়েছে।