জিয়াউল ইসলাম জিয়া, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ৬ অক্টোবর ২০২৫ , ৩:১৪:৫৪
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে টানা ৫ দিন ভোমরা স্থলবন্দরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার সুযোগে সাতক্ষীরার বাজারে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ২০০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। অথচ মাত্র একসপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে এই কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। আমদানি বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে হঠাৎ করে দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।
সরেজমিনে গতকাল রোববার সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারে দেখা গেছে পাইকারি বাজরে ভারতীয় আমদানি করা কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে এই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সাতক্ষীরার বাজারে এই মরিচ বিক্রি হয়েছে পাইকারিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। পূজার কারণে ভারতীয় কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানান পাইকারি বিক্রেতারা।
ওই বড়বাজারে পাইকারি কাঁচামরিচ বিক্রেতা (আড়তদার) তুহিন আব্দুল্লাহ জানান, আমরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এজেন্টদের কাছ থেকে কাঁচামরিচ কিনে এনে আড়তে বিক্রি করি। পূজার কারণে ভোমরা পোর্ট বন্ধ থাকায় ভারত থেকে কাঁচামরিচ না আসার কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। ফলে আমাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। অনেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগ নিয়েছেন। বন্ধের সময় অল্প অল্প করে মরিচ বাজারে ছেড়েছেন। যে কারণে দামও বড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এমনিতে এবছর কাঁচামরিচের ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। শুধুমাত্র আড়তদারি টিকিয়ে রাখতে ব্যবসা চালু রেখেছি। অন্য সময় আমার ঘরে মরিচের বস্তার জন্য পা দেওয়ার জায়গা থাকে না। আর এখন এই অল্প কিছু মরিচ নিয়ে বসে আছি। তবে গতকাল শনিবার থেকে পোর্ট খুলেছে। আশা করছি আগামী সোম-মঙ্গলবার থেকে মরিচের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সুলতানপুর বড় বাজারে কাঁচামরিচ কিনতে আসা রসুলপুরের জাহাঙ্গীর সরদার জানান, গত সপ্তাহে যে মরিচ দেড়শ’ টাকা কেজি কিনেছি, এখন তা কিনতে হচ্ছে চারশ’ টাকায়। একশ গ্রাম কাাঁচামরিচ কিনলাম চল্লিশ টাকা দিয়ে। বাজারে কোন জিনিসের দামের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। বিক্রেতা ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছে। তিনি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান।
বড়বাজারের খুচরা বিক্রেতা আমির আলী জানান, আড়তদারি দিয়ে তিনশ’ টাকার উপরে কাঁচামরিচের কেজি কিনতে হচ্ছে। তারপর অনেক সময় পঁচা বের হয়। অনেক মরিচ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে কেজি বিক্রি করছি সাড়ে তিনশ’, আর একশ’ গ্রাম দুইশ’ গ্রাম নিলে চারশ’ টাকা কেজি।