জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের বোতলে পাম্পের গ্যাস তুলে বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার আরামনগর বাজারের চিলমারির শুলা হাটির মেসার্স আমিনুর ইলেকট্রনিক এর মালিক দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে এ ব্যবসা করে আসছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯ টায় সাধারণ জনগণের কাছে ধরা পড়লে সাংবাদিক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আমিনুর দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার আরামনগর বাজারের চিলমারী শুলা হাটি মোড়ে দীর্ঘদিন ধরে যমুনা, বসুন্ধরা, নাভানা, বিএম সহ দেশের বিভিন্ন এলপি গ্যাসের নাম ব্যবহার করে পাম্পের গ্যাস তুলে এনে সিলিন্ডার বোতলে বিক্রি করে আসছিল আমিনুর। শুধু নাম পরিবর্তনই নয়, প্রতিষ্ঠান গুলোর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে সিলিন্ডারের বোতলে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছিল গ্যাসের পরিমাণ। ১২ কেজির জায়গায় আমিনুরের দোকানে পাওয়া যায় পাম্প থেকে গ্যাস তুলে আনা ৮ কেজির সিলিন্ডার বোতল। প্রতি গ্যাসের বোতল ১৪০০ টাকা করে বিক্রি করে আসছে।
জানা যায়, নীতিমালা লঙ্ঘন করে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডার। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া পেট্রোল জাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু নীতিমালা উপেক্ষা করেই লাইসেন্স তথা ছাড়পত্র না নিয়েই উপজেলার আরামনগর বাজারের মেসার্স আমিনুর ইলেকট্রনিক সহ বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজারের অবাধে ও অরক্ষিত এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, যত্রতত্র এভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কারণে যেকোন মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
আরেক ব্যবসায়ী আল আমিন জানান, বসুন্ধরা লগো ও স্টিকার মারা থাকবে। কিন্তু আমিনুর বিভিন্ন গ্যাস পাম্প থেকে গ্যাস তুলে এনে সিলিন্ডার বোতলে বিক্রি করছে। আমিনুর যে গুলা বিক্রি করছে সেগুলাতে কোন লেভেল নাই। ৫ মাসের মধ্যে কারো দোকানে বসুন্ধরার কোন গ্যাস নাই।
আরামনগর বাজারের কামরুল জানান, সঠিক কোম্পানির গ্যাসের বোতল যদি যায় ২ মাস তাহলে আমিনুর দোকান থেকে নেওয়া সিলিন্ডারে বোতলের গ্যাস ১৫ দিনেই শেষ হয়। যে কোন মুহুর্তে এগুলা ব্রাস্ট হতে পারে। সবাই সচেতন থাকতে হবে।
আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমরা ডিলারের থেকে যে টাকা দিয়ে সিলিন্ডার বোতল নেয় সেখানে আমাদের ১০ টাকা লাভ থাকে না। আর আমিনুর ৬০০/৮০০ টাকার সিনজি পাম্পের গ্যাস এনে ১৪০০ টাকা করে বিক্রি করে বিভিন্ন কোম্পানির এলপি সিলিন্ডার বোতলে। জনগণের সাথে প্রতারণা করে আসছে। আমরা ওর দোকান সিল কালা ও আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।
এদিকে মেসার্স আমিনুর ইলেকট্রনিক এর মালিক আমিনুরকে একাধিকবার কল দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান জানান, আমরা খোজ খবর নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।