অসমাপ্ত চিত্রকাব্য
— সুব্রত কুমার
বুকের মধ্যে তাল পাতার এক পাখি আঁকি,
এঁকে দেখি এবার একটা বৃক্ষ লাগে,
এঁকে নিলাম দারুণ একটা বটের ছায়া
এবার একটা নদীর অভাব ছবির মধ্যে বলছে-“আহা”!
এঁকে ও দিলাম বুকের মধ্যে ছলাৎ ছলাৎ “কুমার বহা”,
এক গঙ্গা জল হলো, উথাল-পাথাল ঢেউ হলো,
দুই ধারে দুই সুখের মত কিনার হলো….!
আরে ভুল বোল্লাম দেখি!
এক ধারে এক সুখের মত কিনার হলো,
অন্য পাড়ে সুখের যত ঘর বসতি,
বাঁশের তলায় ঝলমলানো চাঁদের আলো,
ঘোর কিশোরীর তুমুল করে আর্তনাদে-
উপড়ে পড়ে নদীর বুকে সর্বনাশে!
আমার তখন বুকের মধ্যে ধড়ফড়িয়ে,
গা কাঁপিয়ে, হাত কাঁপিয়ে, কালির পাত্র পড়ল ঢেলে!
আর হলো না শেষ আঁচড়ে আমার মত ছন্নছাড়ার-
থামিয়ে ভাঙন ইচ্ছে মতন দু-হাত ভরে শান্তি আঁকা!
সেই ছবিটার এই জীবনে আর কোনদিন পাই না দেখা!
এই অবেলায় কেন যেন জানতে ভীষণ ইচ্ছে করে –
সেই ভাঙনে আজও কোথায় কার কতোটা ডুবছে জলে!