টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভাধীন শেওড়া তলা এলাকায় অবৈধ ভাবে জমি দখলদারদের জজ কোর্টের নির্দেশে আদিপ্রথা অনুযায়ী ঢাকঢোল পিটিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০জানুয়ারি) সকাল থেকেই মধুপুর পৌরসভাধীন ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের মধুপুর কুড়ালিয়া সড়কের দুপাশে শেওড়া তলা নামক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা জজ কোর্টের নাজির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিগত ২০১৮ সালে মরিয়ম গং তাদের পৈত্রিক ৬০.৭৫ শতাংশ ভুমি একই এলাকার সুরুজ আলী ফকির গং অবৈধভাবে দখল করে আছে এ-ই মর্মে টাঙ্গাইল জজ কোর্টে একটি বাটোয়ারা মামলা রুজূ করেন এবং মামলা নং ১২৫ বলে তিনি জানান।
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর বাদী বিবাদী উভয় পক্ষের জমির সমস্ত কাগজপত্র পর্ষালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত গত ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর মরিয়ম গং এর পক্ষে বাটোয়ারা মামলায় ডিগ্রি প্রদান করেন।
বাদী মরিয়ম বেগমের ছেলে আঃ হামিদ জানান, মহামান্য আদালত ২০২৩ সালে আমাদেরকে বাটোয়ারা মামলায় ডিগ্রি দেওয়ার পরেও বিবাদীগন প্রভাবশালী থাকার কারণে আমরা উক্ত জমি দখলে যেতে পারিনি। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর আইনই সহায়তায় আজ আমাদের জমি ফিরে পেয়েছি।
বাদী মরিয়ম বেগমের ছেলে আঃ মান্নান জানান, পাঁচ বছর পর বাটোয়ারা মামলায় ডিগ্রি পাওয়ার পরেও যখন ভয়ে জমিতে যেতে পারিনি তখন মহামান্য জজ কোর্টের নিকট জমি উদ্ধারের জন্য একটি আবেদন করি।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত গত ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য সিভিল কোর্ট কমিশনারকে নির্দেশ প্রধান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ বৃহস্পতিবার সেই ডিগ্রির পরিপ্রেক্ষিতে বাটা ডিগ্রিজারী আদেশ মুলে জজ কোর্টের নাজির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জেলা জজ এর অনুমতি ক্রমে সিভিল কোর্ট কমিশনার ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় দাবিকৃত ভুমির পরিমাপ করে ঢাকঢোল বাজিয়ে মরিয়ম গং এর ৬০.৭৫ শতাংশ জমির সীমানায় লাল নিশান টানিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
বৃটিশের সেই আদিপ্রথা ঢাকঢোল বাজিয়ে জনসমাগম করে ঘোষণাপত্র পাঠ করার দৃশ্য দেখার জন্য শতশত উৎসুক জনতা ভীড় জমায়।