ইবনে সিনা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান ইসলামী ব্যাংক এর সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু নাসের মোহাম্মদ আব্দুজ জাহের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন ফেইসবুক পেইজ অভিনন্দন লিখে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।
সমাজসেবা অধ্যাপক জাহের সামাজিক কল্যাণ সম্পর্কিত কাজে মূল ভূমিকা পালন করেছেন। একশর মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন। তিনি অনেক বিখ্যাত বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন এবং চিকিত্সার জন্য হাজার হাজার মানুষকে সাহায্য করেছেন।
প্রফেসর আবু নাসের মুহাম্মাদ আবদুজ জাহের পূর্ব এশিয়ার প্রথম এবং নেতৃস্থানীয় ইসলামী ব্যাংক (ইসলামী শরিয়ার উপর ভিত্তি করে), বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান। জন্ম এবং শিক্ষা তিনি ১৯৪৮ সালে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি খন্দকার মোসাররফ হোসেন ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতায় তার পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে তিনি ঢাকা, বাংলাদেশের সৌদি আরবের রয়্যাল এম্বাসি অফ কিংডমে সেক্রেটারি হিসাবে যোগদেন এবং ১৩ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এখন তিনি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর যেটা বাংলাদেশের ভিতর বিশেষ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। অন্যান্য সংস্থার সদস্য এছাড়াও তিনি ইসলামী ব্যাংক কনসাল্টেটিভ ফোরাম (আইবিসিএফ ), ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এবং বিজনেস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ( আইবিডাবলুএফ) এর চেয়ারম্যান।
তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস (বিএবি) এর ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প এর উপদেষ্টা।
এছাড়াও তিনি ইসলামি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সিআইবিএএফআই) সাধারণ কাউন্সিল বোর্ডের সদস্য। তিনি বিভিন্ন সময় আইবিবিএল-এর ডিরেক্টর ছিলেন এবং এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি ফুয়াদ আল খাতেব ফাউন্ডেশন, বাদশা ফয়সাল ইন্সটিটিউট, ইবন সিনা ট্রাস্ট ঢাকা, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং কলেজ, ইবনে তায়মিয়া কলেজ, ইসলামী শিক্ষা সোসাইটি,বাংলাদেশ ইসলামী সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাংলাদেশের মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট সদস্য।
তিনি অনেক দরিদ্র মানুষকে আবাসন সুবিধা,দরিদ্র ছেলেমেয়েদেরকে শিক্ষার সুবিধা এবং অনেক দরিদ্র মেয়েদের বিয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি দেশে এবং বিদেশে,সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন অবদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন। তিনি সামাজিক এবং শিক্ষা কার্যক্রমে খুবই আগ্রহী।