নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কৃত্বি সন্তান ফৌজিয়া সাফাদার সোহেলী তিনি দীর্ঘ ৮ বছর পর নিজের এলাকায় পা রাখার সুযোগ পেয়েছেন।
তার আসার খবর শুনে সংবর্ধনার আয়োজন করেন এলাকায় বাসী।
সোমবার(২ সেপ্টেম্বর) বিকালে হাতিয়া উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের আফাজিয়া বাজারে সংবর্ধনার আয়োজন স্থানীয় জনসাধারণ।
এসময় এলাকাবাসী নদী ভাঙন রোধ সহ একাধিক দাবি দাবা তুলে ধরেন।
পরিশেষে তিনি জনসাধারণের উদ্দেশ্য বক্তব্যে বলেন- আমি দীর্ঘ ৮বছর পর আমার জন্মভূমি হাতিয়ায় পা রাখার সুযোগ পেয়েছি। আমি মাটির মানুষ আমি জনসাধারণের সাথে এক সাথ হয়ে হাতিয়ার উন্নয়নের কাজ করতে চাই।
জানা যায় -তৎকালীন ২০১৬ সালে এলাকা ছাড়া হন ফৌজিয়া।তার এক মাত্র দোষ ছিলো হাতিয়ার মানুষ কে নিয়ে পজিটিভ চিন্তাধারা। এবং হাতিয়ার মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা।যেটা সহ্য করতে পারেন নি তৎকালীন ক্ষমতাশীনরা।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয়রা মাদক সন্ত্রাস মুক্ত হাতিয়া গঠনে ওনার নিকট জোর দাবি জানান।
এসময় নদীর ভাঙন রোধ নিয়ে উচ্চ স্বরে স্লোগান দেন হাতিয়ার শুভ নামে এক তরুণ যার সাথে তাল মিলিয়ে সবাই একই সুরে নদী ভাঙন রোধ চান।
এসময় উপস্থিত আরেক নেতৃবৃন্দ বলেন- হাতিয়ায় নৈরাজ্য নিয়ে যারা এক সময় লেখালেখি করতো তারা কেউ শান্তিতে হাতিয়ায় থাকতে পারে নাই। নিজের মাতৃভূমিকে ত্যাগ করতে হয়েছে। তার মধ্যে ফৌজিয়া ও একজন। তিনি লেখনীর মাধ্যমে হাতিয়ার নৈরাজ্য গুলো তুলে ধরছেন। এবং কখনো হাল ছাড়েন নি।
তিনি আরো বলেন- এই হাতিয়ার উন্নয়ন নিয়ে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মত প্রকাশ করতাম।কিন্তু এই মত প্রকাশ কে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা হুমকি সহ আমার নিজ এলাকায় পা রাখাও সুযোগ দেয় নাই।
আমি বিশেষ করে ছাত্রজনতাকে ধন্যবাদ জানাই এবং শহীদ ছাত্র ভাইদের আত্মা মাগফেরাত কামনা করছি।তারা যদি এই ফ্যাসিবাদ সরকার কে বিতাড়িত না করতো হয়তো এই হাতিয়ার মানুষ শোষণ মুক্ত হতো না।
আমরা চাই সবাইকে একত্র করে নতুন একটি হাতিয়া তৈরি করতে যেখানে হিন্দু মুসলিম সবাই সমান থাকবে।কোনো ভেদাভেদ বৈষম্য থাকবে না।
তিনি নদী ভাঙন রোধের বিষয়ে বলেন- আমি আরো আগে ও একাধিক হাতিয়ার নদী ভাঙন নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছেন। তারা সহ সবাই একত্র হয়ে নদী ভাঙন রোধে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।