নুর হোসেন মাসুদ, একটি স্বপ্ন, বাস্তবতা,কর্মী গড়ার কারিগর, দলের নীতি, আর্দশ ও নেতাদের অনুগত, কখনো দলের সাথে বেঈমানী করে নাই। যার স্বপ্ন ছিল বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করা। আজকে আমরা কি দেখলাম তার বিশাল জনপ্রিয়তা সারা বেগমগঞ্জ উপজেলা ব্যাপী, কিন্তু তার এই জনপ্রিয়তা তার জন্য কাল হলো, তাকে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অনুরোধ করে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে বলে, সে বিনাবাক্যে তার মেনে নেয়, একেই বলে আর্দশিক কর্মী ।
যে নীতি ও আর্দশের জন্য নিজের সব কিছু বিসর্জন দিতে পারে। নুর হোসেন মাসুদ আজকে সৃষ্টি হয় নাই দীর্ঘ রাজনৈতিক মাঠে অনেক নির্যাতন সহ্য করে, বিগত পাঁচ বছর আগে, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। সেখানে ও তাকে ভালো ভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, তার পরে ও সেই যেভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গেছে তার কল্পনা যেতে পারে। দলের নেতাকর্মীদের জন্য সবসময়েই নিজকে উজাড় করে দিয়েছেন। আমার জানা মতে মাসুদ কখনো দুপুর বেলায়, একবেলা ভাত একা খায় নাই, আজকে যারা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তারা কোথায় ছিলেন। তাদের তো অনেক টাকা আছে, মাসুদ টাকার জন্য লালায়িত ছিল না, তার কাছে সাধারণ নেতাকর্মী পেয়েছে ভালবাসা, আর সিনিয়রদের করেছে সম্মান। আমার ভাবতে অবাক লাগে একজন নুর হোসেন মাসুদ বেগমগঞ্জ উপজেলার মানুষের কাছে এতে জনপ্রিয় হতে পারে।
যেখানে দলের নেতাকর্মীদের বিপদ সেখানে নুর হোসেন মাসুদ। নিজের সকল কষ্ট চেপে ধরে, সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের সাথে হাসি মুখে কথা বলা, এটা কয়জন মানুষ করতে পারে । আমি ভাবতে পারিনি কেন আমাদের উপজেলার নেতৃত্ব এটা অনুধাবন করতে পারেন নাই, কেন তারা কর্মীদের মনের ভাষা বুঝতে পারেন নাই। এটা যে ভূল সিদ্ধান্ত ছিল তার আগামীতে প্রমানিত হবে ইনশাআল্লাহ, কিন্তু তখন আমাদের আর করার কিছুই থাকবে না। আমি একজন সাধারণ কর্মী আমার মনের দুঃখ প্রকাশ করলাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। পরিশেষে একজন পরীক্ষিত কর্মী নুর হোসেন মাসুদ কে আগামী২৯মে আবারো, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমারা বিশ্বাস করি মাসুদ সবসময়, অতীত এর মত জনগণের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ। সৎ কর্মী কখনো হারে না,আবার ঘুরে দাঁড়ায় ইতিহাস তার স্বাক্ষী।
লেখক : আওয়ামী লীগের এক সাধারন কর্মীর ফেসবুক থেকে নেওয়া।