টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন ব্যস্ততম ও কাঁচাপাকা সড়ক দখল করে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ করছেন স্থানীয় কৃষাণ-কৃষাণিরা। ফলে একদিকে রাস্তা যেমন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্ততম সড়ক সহ পাড়া মহল্লার কাঁচা-পাঁকা রাস্তায় চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর মহোৎসব।
যানবাহন ও সর্বসাধারণে যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কতিপয় কৃষাণ-কৃষাণী ধান মাড়াই সহ খড়ের স্তুপ ফেলে সাধারণ পথচারীদেরকে মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
বিশেষ করে মধুপুর কাঁঠাল তলী মোড় হতে চাপড়ী বাজারে হয়ে গারো বাজার, কুড়ালিয়া মোড় হতে বাগানবাড়ি চৌরাস্তা, রক্তিপাড়া বাসস্ট্যান্ড হতে চাপড়ী, কাকরাইদ হতে গারো বাজার সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার রাস্তা গুলো বর্তমানে খড় ও ধান মাড়াই মেশিন মালিকদের দখলে।
এসব ব্যস্ততম সড়কপথে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ছাড়াও রিকশাভ্যান এবং ইজিবাইক চালকরা সার্বক্ষণিক দুর্ঘটনার আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।
খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে যেমন দুর্ভোগ বাড়ছে তেমনি রাস্তায় ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
এই খড়ের গাদায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক ও পথচারী হাত পা ভেঙে পঙ্গু হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এমনও পরিবার রয়েছে যে পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মানুষটি আজ পঙ্গু হয়ে বিছানায় পড়ে আছে, এই অসহায় পরিবারের দায়ভার কে নিবে?
সাধারণ মানুষের নিরাপদে পথচলায় যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও জনসাধারণ।