মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লালপুরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ডুমুরিয়ায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত চন্দ্রগঞ্জে বকুল বেগম আইডিয়াল স্কুল এন্ড মাদ্রাসার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা রাঙ্গামাটিতে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে রাতে পাঁচারের সময় কাঠভর্তি বাস সহ চালক আটক নড়াইলে ছাত্র-জনতার উপর গুলি ও হামলার অভিযোগে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ২৯ জনের নামে মামলা পশ্চিম বাংলার উত্তর ঘোলা জামাতে ইসলামীর উদ্দোগে রক্তদান ও চক্ষু এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচির উদ্বোধন ডুমুরিয়ায় ক্লাস্টার চিংড়ি চাষীদের সাথে মতবিনিময় নেশার টাকার যোগান দিতে বিএনপি নেতার পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় জর্জরিত ভুক্তভোগী। দেশে দাম কমলো আলু ও পেয়াজের ওসির বিরুদ্ধে নিউজ করায় সাংবাদিককে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোয় এসপি ও ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ।

আনন্দ গুপ্তার হুইল চেয়ার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বৃদ্ধের পরিবার!

মোঃ আল হেলাল চৌধুরী, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪
  • ৭০ Time View

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী স্টেশনের ক্ষুদে ভাতের হোটেল ব্যবসায়ী নায়েব আলী (৭০) স্বল্প আয়ের মধ্যেই ১ কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে অতি কষ্টে বসবাস করে আসছিলেন পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের স্টেশন পাড়ায়। প্রায় ৭ বছর যাবৎ তিনি হার্ডের রোগে আক্রান্ত । সাথে ৪ বছর ধরে হারনিয়া ও স্বাস কষ্ট ভুগছেন তিনি। বর্তমানে তার হার্টের পাঁচটি ব্লক ধরা পড়েছে। এতে তার হার্টের পাম্পিং স্পিড ২৬ শে নেমে এসেছে। হার্টের পাম্পিং স্পিড ২৬ এর উপরে না উঠলে তার হারনিয়া অথবা হার্ট অপারেশন করা সম্ভব হবে না। এমন কথা বলেছেন চিকিৎসকগন। তাছাড়া এই দুইটি অপারেশনের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। আমি কোন ভাবেই কুলাতে না পেরে বাবাকে বাড়ীতে ফিরিয়ে এনেছিন তার মেয়ে রিফা আক্তার। এই পরিবারের উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি নায়েব আলী অসুস্থ্য হয়ে পড়ার সময় থেকে তার মেয়ে রিফা আক্তার একটা টেইলারে সেলাইয়ের কাজ করে অসুস্থ্য বাবা ও পরিবারকে চালানো চেষ্টা করছে। বর্তমানে অসুস্থ্য বাবার চিকিৎসাসহ পরিবার চালানো তার দ্বারা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

বৃদ্ধ নায়েব আলীর কন্যা রিফা আক্তার আরো বলেন, আমি আমার বাবাকে নিয়ে প্রায় ৪ বছর যাবৎ বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেছি। একদিকে চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ অপরদিকে রোগীর কাছে থাকা একবারেই অসম্ভব। তাই বাবাকে বাড়ীতে নিয়ে এসেছি। বাবা বর্তমানে নিজে চলতে পারে না। তার জন্য একটা হুইল চেয়ারের দরকার ছিলো কিন্তু কেনার সামর্থ আমার নাই। বিষয়টি ফুলবাড়ী গুপ্তা প্লাইউড এন্ড উড প্রোসেসিং কোম্পানীর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আনন্দ কুমার গুপ্তর নজরে আসলে সে বাবার চলাফেরার জন্য একটি হুইল চেয়ার নিয়ে নিজেই আমাদের বাসায় আসেন এবং আমার বাবাকে সেই চেয়ারে বসান। আমি তার এই উপহার পেয়ে অত্যান্ত আনন্দিত। আমি তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করছি।

রিফার মা আমেনা খাতুন বলেন, আমরা আনন্দ বাবুর এই হুইল চেয়ার পেয়ে অনেক খুশি এক কথায় আনন্দে আত্মহারা। সৃষ্টিকর্তার কাছে আনন্দ গুপ্ত‘র জন্য দোয়া করছি।

এবিষয়ে আনন্দ গুপ্ত বলেন, মানুষের বিপদে মানুষ এগিয়ে আসবে এটাই সাভাবিক। কিন্তু অনেকে আসতে চায়না। আমি বিত্তবানদের আহবান করবো আপনারাও গরিব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান। তাদের জন্য কিছু করেন। এতে দেখবেন আপনার মন ভরে উঠবে। মানষিক স্বস্তি পাবেন। আপনার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। আমি বিশ্বাস করি দানকরলে কমেনা, দান করে বাড়ে। আমি দান করে মানষিক স্বস্তি পাই। আমার সাধ্যমত এমন কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102