গত শনিবার (৪ মে) সাংবাদিক আনিছুর রহমানের বাঁশখালীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় নেতৃত্ব দেন দীর্ঘদিনের বিরোধ হয়ে আসা তারই প্রতিবেশী মোঃ মোরশেদ গং
জানা যায়, ওইদিন সাংবাদিক আনিছুর রহমানের ছোট ভাই জিয়াউর রহমান
গ্রাম পুলিশ মোস্তফার উপস্থিতিতে বসতভিটার বিপদজনক ফলজ গাছের ঢাল কাটতে নিয়োজিত শ্রমিক রুবেল, গাছে উঠলে অভিযুক্ত মোর্শেদ ও শেলী আক্তার নামের এক নারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে। এসময় তারকাঁটা দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধরের প্রমাণ মিলেছে। তবে ভুক্তভোগী জিয়া যেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পারে, তাকেসহ পুরো পরিবারকে দুই দিন জিম্মি করে রাখারও অভিযোগ মিলেছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সাংবাদিক আনিছুর রহমানের সাথে মোরশেদের পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সাংবাদিক আনিছুর রহমানের পরিবার কিছুটা দুর্বল হলেও সবল মোরশেদ এর পরিবার। তাই আনিছুর রহমানের দাবি, ‘আমার আর্থিক অবস্থা দুর্বল হওয়ায় আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। অর্থের অভাবে আমি উকিল নিয়োগ করতে পারছি না। অন্যদিকে মোরশেদ ও তার ভাইয়েরা আমাদের উপর বারবার হামলা করার পর উল্টো তারাই আমাদের বিরুদ্ধে বদনাম রটিয়ে বেড়ায়।
তারা তিন গ্রুপের যোগসাজশে অনেকবার হামলায় মাথা ফেটেছে আমার ভাইয়ের,মোরশেদ গংদের উসকানিতে নূর হোসেন গং আমাদের উপর হামলা করে। উল্টো আমাদের আসামি করে দিয়েছেন মামলা।
২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে মোরশেদের বড় ভাই নির্বাচনের পরাজিত হয়ে হামলা করেন আমার ছোট ভাই মফিজুর রহমানের সহ অনেকের উপর সে হামলায় আনিছুর রহমান ও পরাজিত আরেক প্রার্থী মইনুদ্দিন তালুকদার বাদী হয়ে পৃথক পৃথক ভাবে বাঁশখালী থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। এই ছাড়া মহামারি করো না চলাকালে ২০২০ সালে বসত ভিটা জবরদখলের চেষ্টা করলে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মতে একটি অভিযোগ দায়ের করি যার নং ৭৪১/২০ ইং
মামলা গুলো চলমান থাকায় মামলা তুলে নিতে এসব হামলা করেন বলে জানান সাংবাদিক আনিছুর রহমান, ছোট ভাই
ভুক্তভোগী জিয়ার রহমান বলেন, ‘আল্লাহ তাদের বিচার করবে।
আমি আল্লাহকে বিচার দিলাম। আমি আর থানা-পুলিশে যাব না। কারণ উকিল নিয়োগ দেওয়ার সক্ষমতা আমার নেই। কান্না বিজড়িত কন্ঠে এসব কথা গুলো বলেন তিনি।
তারা তিন গ্রুপের যোগসাজশে হামলা করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমি ও আমার পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাছাড়া যেখানে মারার পর হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয়নি, চিকিৎসা নিতে গেলে তো আজ আমাকে তারা ঘুম করে ফেলত।
গ্রাম পুলিশ মোস্তফা বলেন, ‘সংঘর্ষ এড়াতে তারা চেয়ারম্যানকে বারবার অনুরোধ করে গাছের ডাল কাটার সময় একজন গ্রাম পুলিশ দিতে বলেন। তাদের অনুরোধে চেয়ারম্যান আমাকে পাঠায়। কিন্তু এটা বলতে আমি লজ্জিত যে, আমি উপস্থিত হওয়ার পরও হামলা ঠেকানো যায়নি। তারা পূর্বেই যে হামলার শঙ্কা করেছিল, তাই হলো।’
হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান খন্দকার আছিফুর রহমান,কেন্দ্রীয়, বিভাগ, জেলা, মহানগর উপজেলা কমিটির সকল সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এবিষয়ে থানায় অভিযোগ নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোর্শেদের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।