নওগাঁর ধামইরহাটে সরকারি এমএম ডিগ্রী কলেজের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বায়োজিদ বোস্তামিসহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ নভেম্বর (শনিবার) দুপুর সাড়ে বারোটায় ধামইরহাট সরকারি এমএম ডিগ্রি কলেজের হলরুমে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ধামইরহাট সরকারি এমএম ডিগ্রি কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন সহকারি অধ্যাপক মোছা. মোসফেকা খানম, কলেজের স্টাফ কাউন্সিলর এর সেক্রেটারী প্রভাষক মো.শামীম উল হাসান, প্রভাষক মো.আব্দুল মতিন, শহীদ বায়েজিদ বোস্তামির মা বেনু আরা বেগম, ছাত্র প্রতিনিধি মো.রিফাতুল হাসান চৌধুরী সৈকত ও মো.আলমগীর হোসেন।
পরে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শহীদ বায়োজিদ বোস্তামীর বড় ভাই মো. কারিমুল ইসলামকে অত্র কলেজে সকলের সাথে পরামর্শক্রমে মাস্টার রোলে চাকুরী দেওয়া হবে। তাছাড়া তার বোন ইচ্ছা করলে এস এস সি পাশের পর অত্র কলেজ ভর্তি হলে তার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ বহন করা হবে। এবং পড়ালেখা শেষে তাকে ও চাকুরী দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরো বলেন বায়োজিদ আমাদের তথা নওগাঁ জেলার গর্ব। তাকে মানুষ আজীবন স্বরন করবে।
পরে শহীদের পরিবারের হাতে কলেজের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য পরিমাণ আর্থিক অনুদান তুলে দেয়া হয়।
এসময় স্মরণসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, শহীদের ছোট বোন মোছা. উম্মে সালমা খানম, পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রভাষক মো. নওশাদ হোসেন হ্যাপি, কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. সাইদুর রহমান, ভূগোল বিভাগের প্রভাষক প্রভাষক মো. শাহিনুর আলম, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাজিদ বিল্লাহ, ফয়সাল আহমেদ, সৌধ সরকার, নুর আলম হোসেন, মো. মুক্তারুল ইসলাম, আব্দুল কাহার শহীদ, জাহিদ হাসান তুহিনসহ স্থানীয় সাংবাদিকগণ।
উল্লেখ্য ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের কৈগ্রাম এলাকার সন্তান শহীদ বায়োজিদ বোস্তামি ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এরপর তাকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশে তাকে পুলিশ ভ্যানে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়।