কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের একদিন পর উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) গৃহশিক্ষক মোহাম্মদ মুজিব কৌশলে দশ বছর বয়সী ওই শিশুকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন এর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের রোহিঙ্গা স্ত্রীর বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি রাতে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার। উদ্ধার হওয়া শিশু চকরিয়া পৌরসভার চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। ভুক্তভোগীর বাবা জানান, সবুজবাগ এলাকায় বাসায় তার মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতেন গৃহশিক্ষক মোহাম্মদ মুজিব। মঙ্গলবার বিকেলে পরিবার সদস্যদের অগোচরে ওই শিক্ষক কৌশলে বাসা থেকে তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।তিনি আরও বলেন, বুধবার সকালে অপহরণকারী ওই শিক্ষক মোবাইল ফোনে আমার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি আমি চকরিয়া থানার ওসিকে জানাই। পরে একপর্যায়ে তার দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে কিছু টাকা পাঠাই। এরপর ওই বিকাশ মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ওইসময় অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী ওই শিশুকে থানায় নিয়ে এসেছেন অভিযান পরিচালনাকারী টিমের সদস্যরা, জড়িতকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান।