মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ৪ অক্টোবর ২০২৫ , ৮:৫১:২৬
লালমনিরহাটের মাঠে মাঠে এখন কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বাতাসে দোল খাচ্ছে। সোনালী ধানের শীষে ভরে উঠেছে মাঠ। সেই সাথে রঙিন হয়ে উঠছে প্রান্তিক চাষিদের স্বপ্ন। মাঠ জুড়ে এখন সোনালী স্বপ্নের ছড়াছড়ি।
চলতি আশ্বিন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে লালমনিরহাটের কৃষকেরা ধান কাটা শুরু করেছেন। মধ্যবর্তী কার্তিক পুরোদমে রোপা-আমন কাটা-মাড়াই শুরু করবেন তারা।
চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় অন্যান্য বছরের চেয়ে রোপা-আমন আবাদ ভালো হয়েছে। আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভা এলাকার মাঠগুলোতে যতদূর চোখ যায় চারদিকে শুধু সোনালী ফসলের সমারোহ। পুরো মাঠ যেন সোনালী রঙে সেজেছে।
মাঠে গেলে বাতাসের দোলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। চলতি মৌসুমে মাঠে অন্য সব বছরের চেয়ে ধানের শীষ ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কোদালখাতা গ্রামের কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল ও বড় ধরনের বন্যা নেই বললেই চলে এবং বিদ্যুৎ এর লোড শেডিং না থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
একই ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের হযরত আলী, হরিপদ রায় হরি ও কোদালখাতা গ্রামের কমল কান্তি বর্মন বলেন, প্রাকৃতিক কোন ধরনের দূর্যোগ না হলে আশানুরূপ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, লালমনিরহাটে চলতি রোপা-আমন মৌসুমে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাই ফসল ভরা মাঠ সোনালী রঙে রঙ্গীন হয়েছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, লালমনিরহাটে চলতি মৌসুমে প্রায় ৮৫হাজার ৩শত ৫০হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষ হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার সোহায়েল আহমেদ বলেন, রোপা-আমন ধানের ক্ষেত সবুজে ভরে উঠেছে। কৃষি অফিস থেকে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছি। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সময় মতো পরামর্শ দেওয়ায় রোপা-আমন ক্ষেতে এবার রোগবালাই কম। তাই এবারও ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন, এ মৌসুমে ৮৬হাজার ৬শত ৫০হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ৮৫হাজার ৩শত ৫০হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষাবাদ হয়েছে।