সিলেটের ভূয়া আদম ব্যবসায়ী সুমন চক্রের প্রতারণায় নিঃস্ব মৌলভীবাজার সহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার শতাধিক যুবক । অন্যদিকে প্রতারক সুমনের প্রতারণায় হয়রানি হয়েছেন সহযোগিতাকারী ১ ব্যবসায়ী । ঘটনার বিবরণে জানা গেছে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ৩৭ নং ওয়ার্ডের দুশকি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাই ও ফাতেমা বেগমের ছেলে প্রতারক সুমন চৌধুরী । প্রতারণার মাধ্যমে দেশের সহজ সরল যুবকগনের কাছ থেকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক । রাজধানীর বিভিন্ন জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তাদের অফিসকে নিজের অফিস দেখিয়ে গ্রামের সহজ-সরল বেকার যুবকদের বিদেশে চাকুরি দেওয়ার সোনার হরিণের স্বপ্ন দেখিয়েছে এ সুমন। প্রতারক সুমন চৌধুরী কর্তৃক প্রতারণার শিকার হয়ে বেশ কয়েকজন যুবক মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। ভুক্তভোগী যুবক ও তাদের পরিবার সূত্রে আরো জানা গেছে বিগত সরকারের আমলে ১০/১২ বছর যাবত দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার বহু যুবকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার বহু যুবকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক। রেহাই পায়নি নিজ এলাকা সিলেট ছড়াও মৌলভীবাজার জেলার লায়েক আলী (৩০), মোঃ রাসেল (২৬), মোহাম্মদ সাজু (২৪), মোঃ হাবিব (৩৪), পাপ্পু দাস (২৬),শুভাশিস দাস(৩২), রূপক দাশ (৩২) দীপক দাস (৩২), জয়নাল আবেদীন (৪৪), আবুল কাশেম (৩৮) মোহাম্মদ মুন্না (২৬), ইমরান হোসেন (৩৪) বিক্রম (৩০) আহমেদ মিলাদ (২৩) সহ অর্ধশতাধিক যুবকের কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রায় ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে। যুবকরা নিজ সহায় সম্বল বিক্রয় ও ঋণ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নে টাকা দেওয়ায় দীর্ঘদিনেও বিদেশ যেতে না পারায় প্রতারক সুমন চৌধুরীর কর্তৃক প্রতারিত হওয়ায় বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন জায়গায় দেন দরবার করে ও সমাধান করতে না পারায় মানবতার জীবন যাপন করছে । ভুক্তভোগী যুবক ইমরান হোসেন জানান হন্য হয়ে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে পাননি তাকে। একাধিক প্রতারিত যুবক জানায় সুমন সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইতিমধ্যে বিদেশ পাড়ি জমিয়েছে লোক মুখে শুনেছেন। অন্যদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে গেছে শুক্রাবাদ ধানমন্ডি এলাকার একে এম কফিল উদ্দিন সুমন ইউনাইটেড ডিস্ট্রিক্ট ক্লাব লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক কে, তার প্রতারণার হাত থেকে তিনিও রেহাই পান নাই। সাহায্য করে উল্টো তার মামলার আসামি হয়ে বলির পাঁঠা হয়েছেন। প্রতারক সুমন এলাকার যুবকদের কাছ থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিনকে মিথ্যা মামলায় জড়ান, ১দিন হাজত খেটে বের হলে ও প্রতারক সুমন চৌধুরীর মিথ্যা মামলায় মান-সম্মান ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে জানান এই প্রতিবেদকের নিকট, এ ব্যাপারে প্রতারক সুমনের মামলার আইও তেজগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর জয় দেবের সাথে কথা হলে তিনি জানান মামলার আইও মধু সূদন বদলি হওয়ায় তিনি এ মামলার দায়িত্ব রয়েছেন। বারবার যোগাযোগ করা হলেও সুমনের ব্যক্তিগত সেলফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মামলা যে সকল সাক্ষীর নাম ব্যবহার করা হয়েছে তাদের একাধিক ব্যক্তি জানান সুমন ব্যবসায়ি কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না, তাদের না জানিয়ে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে বলে জানান। প্রতারক সুমন অন্যদিকে মামলায় রাজধানী ঢাকা মিরপুরের নিজের যে ঠিকানা দেখিয়েছেন সেটিও ভুঁয়া । প্রতারিত যুবকগন ও ব্যবসায়ী এ কে এম কফিল উদ্দিনের প্রত্যাশা দ্রুত প্রতারক সুমনকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি ।