টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে । দমকা হাওয়া এবং একটানা শিলাবৃষ্টিতে আমন ধানের গাছ জমিতে শুয়ে পড়েছে । শিলার আঘাতে ধানের প্রতিটা শীষ থেকে ধান জমিতে পড়ে গেছে । কোথায় কোথায় বৃষ্টির পানি জমে ধানের সম্পূর্ণ গাছ জমে থাকা পানিতে তলিয়ে গেছে । এই অবস্থা দেখা গেছে ধনবাড়ীর প্রতিটা ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে । কিছু কিছু ধান কাটার উপযোগী হওয়ায় শুধু মাত্র শ্রমিক খরচ বেশি হওয়ার জন্য ধান কাটতে কৃষকের দেরী হওয়াতে সে সব জমির ধান ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । নুয়ে পড়া ধান কাটতে এখন কৃষকের শ্রমিক বেশি লাগবে অপরদিকে পাকা ধান শিলার আঘাতে ঝরে পড়ায় ধান বিক্রি করে ধান কাটার খরচই উঠবে না বলে জানিয়েছেন মুশুদ্দির কৃষক হিরা প্রামাণিক । ধনবাড়ী পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের চালাষ নিবাসী মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন ,’ আমার মাইছাকুড়ি বন্দে ১ বিঘা রনজিৎ ধান গতরাতের শিলাবৃষ্টিতে সম্পূর্ণ শুয়ে পড়েছে । একই অবস্থা হইলাকুড়ি বন্দেও । সেখানে ২ বিঘা জমির রনজিৎ এবং খিসামত ধান মাটিতে মিশে গেছে । আমার মতো সকল কৃষক যারা আমন ধান চাষ করেছেন তারা সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত ‘। এদিকে আমন ধানের পাশাপাশি আলু পেঁয়াজ ক্ষেতেরও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ধনবাড়ীতে । পেঁয়াজ এবং আলু আবাদের জন্য চাষকৃত জমিতে বৃষ্টির পানি জমে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে । রোদে জমি শুকিয়ে এলে পুনরায় জমিতে হালচাষ করতে হবে । এক্ষেত্রে আবাদ যেমন পিছিয়ে যাবে খরচও বেশি হবে । ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,’ এবার ধনবাড়ী উপজেলায় সর্বমোট ৯৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে । শিলাবৃষ্টিতে যেসব ধানের গাছ জমে যাওয়া পানিতে শুয়ে পড়েছে সেসব ধানের গাছ শীষ সহ জাগিয়ে দিতে পারলে ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে আনা যাবে । অনেক জমিতে ধান গাছ শুয়ে পড়লেও ফলনের তেমন ক্ষতি হবে না । পেঁয়াজ এবং আলু চাষে কিছুটা ক্ষতি হলেও সঠিক পরিচর্যায় ধকল কাটিয়ে উঠা সম্ভব ‘। তিনি বলেন,’ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ আজ বুধবার সকাল থেকেই ধনবাড়ীর বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ধান এবং আলু- পেঁয়াজ চাষের জমিতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে সঠিক পরামর্শ দিচ্ছেন এবং সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের চেষ্টা করছেন ‘।