পূজামণ্ডপে মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে যাওয়া নিষেধ

আমাদের দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া চলছে। বিএনপির কোনো নেতা কর্মী শুভেচ্ছা জানাতে,পরিদর্শন করতে
পূজামণ্ডপে মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে যাওয়া যাবেনা, নিষেধ। শৃংখলা বজায় রাখতে থাকবে বিএনপির সেচ্চাসেবক টিম,সুনামগঞ্জ বিএনপির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন।

শনিবার(২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা নির্বিঘ্নে পালনের লক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায়
কথা গুলো বলেন তিনি।

এসময় তিনি আরও বলেন,সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপনে সহযোগীতা করবে বিএনপি। বিসর্জন স্থলে কম পক্ষে বিএনপির সিনিয়র ১৫ জন নেতৃবৃন্দ থাকবেন। উপজেলায় ও পৌসভায় একেই রখম। শৃংখলা রক্ষার জন্য সহযোগীর জন্য থাকবে।

তিনি আরও জানান,সকল প্রকার অপতৎপরতা রুখে দিয়ে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব মুখর পরিবেশ সম্পন্ন হবে আশা করছি আর আমরা সহযোগী করবো।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজনে সুনামগঞ্জের দ্যা পিস প্লেইস হোটেল এর হল রুমে মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. নুরুল ইসলাম নুরুল’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য অ্যাড. আব্দুল হক, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মল্লিক মইন উদ্দিন সুহেল, অ্যাড. শেরে নুর আলী, অ্যাড. মাজহার, অ্যাড. মাসুক আলম, মো. রেজাউল করিম বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত,আগামীকাল ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার মহালয়ার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা, সুনামগঞ্জ জেলায় ৪২৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। যারমধ্যে সার্বজনীন ৪২০টি ও ব্যক্তিগত ৪টি। এবার সদর উপজেলায় ৫১টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। এরমধ্যে উপজেলায় ২৩টি সার্বজনীন ও ২টি ব্যক্তিগত এবং পৌরসভায় ২৫টি সার্বজনীন ও ১টি ব্যক্তিগত পূজামণ্ডপ রয়েছে। তাহিরপুর উপজেলায় ২৯টি,ধর্মপাশায় উপজেলায় ২১টি, মধ্যনগর উপজেলায় ৩২টি,জামালগঞ্জ উপজেলায় ৫১টি, ছাতক উপজেলায় ৩০টি, জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩৯টি, দিরাই উপজেলায় ৭০টি, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ২১টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২৯টি, শাল্লা উপজেলায় ৩২টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৯টি মন্ডপে শারদীয় দুগোর্ৎসব অনুষ্ঠিত হবে।